‘শুভেন্দু না থাকলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেত, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারত না’

বাংলায় ভোটের দ্বিতীয় দফার দিন সারা দেশের রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সারা ভারতের রাজনীতিতে 'দিদি' হিসেবে পরিচিত তৃণমূল নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কটাক্ষ, 'শুভেন্দু না থাকলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেত, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারত না'।

'শুভেন্দু না থাকলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেত, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারত না'
তখন একসঙ্গে :ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 01, 2021 | 7:15 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: বাংলায় ভোটের দ্বিতীয় দফার দিন সারা দেশের রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সারাদিনই একই অন্যের বিরুদ্ধে নাম করে এবং না করে নিশানা করেছেন তাঁরা। এবার ভোটপ্রদানের শেষ লগ্নে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন তাঁর একদা সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিস্ফোরক মন্তব্য, তিনি তৃণমূলে না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হত না। সারা ভারতের রাজনীতিতে ‘দিদি’ হিসেবে পরিচিত তৃণমূল নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর কটাক্ষ, ‘শুভেন্দু না থাকলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেত, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারত না’।

এদিন একাধিক বার নন্দীগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। নিজে ভোট দিয়ে বেরিয়ে মমতাকে তিনি ‘আন্টি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কখনও আবার ঝাঁঝের সঙ্গে বলেছেন, মমতা হেরে গিয়েছেন। মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন। তাই এখন প্রচার পেতে তাঁকে নাটক করতে হচ্ছে।

চৈত্রের বেলা যত গড়িয়েছে ক্রমশ ভোটের উত্তাপ বেড়েছে নন্দীগ্রামের। ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বয়াল বুথ। এই ৭ নম্বর বুথকে কেন্দ্র করে বাড়ে তীব্র উত্তেজনা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করে অভিযোগ জানান ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফোন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন রাজ্যপালও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশনও। সিইও-কে ফোন করলেন সুদীপ জৈন। এর পরে শুবেন্দুর প্রতিক্রিয়া ছিল প্রচার পেতে ‘নাটক’ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন ভোট প্রদানের শেষ লগ্নে এসে কার্যত নজিরবিহীন ভাষায় মমতাকে টিপ্পনি করলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। দাবি করলেন, তিনি না থাকলে মমতার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হত না।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হঠিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনের। সেই সময় নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। যদিও একুশের ভোটের আগে সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কার ভূমিকা বেশি ছিল, কে ছিলেন মূল হোতা তাই নিয়ে বারবার আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে জড়িয়েছেন তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল নেতৃত্বকে।

আরও পড়ুন: বয়ালে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে মারতে গেলেন মমতা

মাত্র দিন কয়েক আগে অধিকারী পরিবারের ওপর বিস্ফোরক অভিযোগ এনে মমতা পরোক্ষে দাবি করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রথমে তাঁদের দেখা মেলেনি। এমনকি ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের কুখ্যাত গণহত্যার দিন অধিকারীদের অনুমতি ছাড়া পুলিশ ঢুকতে পারত না বলে বিস্ফোরক দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের প্রতিপক্ষকে ভোটগ্রহণের শেষ লগ্নে এসে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।