Nandigram BJP: এবার নন্দীগ্রামে বিজেপির ‘বিদ্রোহে’র আগুন, নতুন মণ্ডল সভাপতি নিয়ে জোর তরজা, চলল চিঠিচাপাটি

BJP: গত ১৯ মে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও জেলা সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন এই মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকরা।

Nandigram BJP: এবার নন্দীগ্রামে বিজেপির 'বিদ্রোহে'র আগুন, নতুন মণ্ডল সভাপতি নিয়ে জোর তরজা, চলল চিঠিচাপাটি
নন্দীগ্রামে বৈঠক বিজেপি নেতাদের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 9:43 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: ফের বিজেপির অন্দরে বিবাদের ছায়া। দলের সিদ্ধান্তেই ক্ষোভের অভিযোগ। তাও আবারও শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম-১ দক্ষিণ মণ্ডল নেতৃত্ব চিঠি দিয়ে বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে জেলা কমিটি, মণ্ডল সভাপতিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেখানে নন্দীগ্রাম-১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি হিসাবে এতদিন ছিলেন জয়দেব মণ্ডল। নতুন তালিকায় জয়দেব মণ্ডলের নাম বদলে শ্যামাপ্রসাদ মাইতির নাম রাখা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারা এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন বলে চিঠিতে লিখেছেন।

জয়দেব মণ্ডলের বক্তব্য, “আমি দীর্ঘদিন এই মণ্ডলে কাজ করছি। আমার পদের পরিবর্তন হয়েছে বলে শুনেছি। আমাকে এখন চণ্ডীপুর বিধানসভা এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি ওখানে আমি কাজ করব না। আজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলককান্তি গুঁড়িয়া-সহ একাধিক নেতৃত্ব। আমরা আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি। দল এখনও কিছু জানায়নি। দল সঠিক চিন্তাভাবনা না করলে আমাদেরই চিন্তাভাবনা করতে হবে।”

গত ১৯ মে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও জেলা সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন এই মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকরা। ৬১ জনের সই রয়েছে সেই চিঠিতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বগণ মনে করেন এই দরখাস্ত একটা সামান্য কাগজের টুকরো, একে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন, তা হলে আমরা বুঝব শুধু এই কাগজটা নয়, এর পিছনে যে সংখ্যক কর্মী ও কার্যকর্তা রয়েছেন তাঁদেরও ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল।’ জেলা ও রাজ্য সভাপতিকে লেখা চিঠিতে সই করেছেন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি জয়দেব ছাড়াও মণ্ডল কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত মিদ্যা এবং বিষ্ণুপদ প্রামাণিক, দুই সহ–সভাপতি রবীন পাত্র, অসীম করণ, মহিলা মোর্চার মণ্ডল সভাপতি মোহিনী দাস এবং যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি পূর্ণ পাত্র।

সোমবার নন্দীগ্রামে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন চণ্ডীপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী পুলক গুঁড়িয়া। এদিন তিনি পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাপতির নির্দেশেই এই বৈঠক হয়। যদিও এই বৈঠকে নতুন মণ্ডল কমিটি নিয়ে কোনও বিশেষ সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের দাবি। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে নিয়ে সংগঠনের কাজ করা হবে। সাময়িকভাবে কারও কারও ক্ষোভ বা প্রশ্ন থাকলেও কোনও না কোনও জায়গায় সকলে একমত হবেন। আমাদের সংগঠনে সেই প্রক্রিয়া চলছে।” অন্যদিকে বিজেপির এই ঘরোয়া ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “এখানকার নেতা যে পথে এগোন বা রাজনীতি করতে চান সেটা জনগণ জানেন। বিজেপির লোকজন এখন তা পদে পদে বুঝতে পারছেন।”