Tamluk: পেটের ভিতর তালের মতো কী একটা নড়ত, পরীক্ষা করতেই অবাক রোগীর পরিবার
Purba Medinipur: ওই মহিলার দাদা জানান, বোনের শরীরে প্রথমে একটা ছোট সিস্ট ধরা পড়ে। যদিও এরপর তেমন সমস্যা হয়নি। তবে বছরখানেক ধরে ওজন কমতে থাকে। এরপরই আবার ডাক্তার দেখান। তাতেই দেখা যায় পেটের ভিতর তালের মতো কিছু একটা নাড়াচাড়া করছে। এরপরই ডাক্তারকে দেখালে তাঁরা বলেন সবটা।
পূর্ব মেদিনীপুর: দুই ডিম্বাশয়ে জোড়া টিউমার। দু’টি মিলিয়ে ওজন ১৫ কেজির কাছাকাছি। সেটি আবার ম্যালিগন্যান্টও। নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ঝুঁকি এরকম টিউমারের অস্ত্রোপচার করা। তবে ৪০ বছর বয়সী মহিলার শরীর থেকে তা অপারেশন করে বের করে আনলেন তমলুকেরই চিকিৎসকদের একটি দল। তবে অস্ত্রোপচার হয় বেসরকারি হাসপাতালে। ফলে রোগীর পরিবার প্রথমে একটু চিন্তাতেই ছিলেন। যদিও একটি পয়সাও খরচ হয়নি ‘স্বাস্থ্যসাথী’র সৌজন্যে, জানাল পরিবার। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ব্লকে। বেশ কিছুদিন ধরেই ডাক্তার দেখাচ্ছেন। পরিবার পরিজনরা বলেছিলেন, আরও বড় পরিকাঠামো আছে এমন জায়গায় এমন ঝুঁকির অস্ত্রোপচার করাতে। তবে তিনি তমলুকের ওই বেসরকারি হাসপাতালেই ভরসা রাখেন। এখন সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ওই মহিলার দাদা জানান, বোনের শরীরে প্রথমে একটা ছোট সিস্ট ধরা পড়ে। যদিও এরপর তেমন সমস্যা হয়নি। তবে বছরখানেক ধরে ওজন কমতে থাকে। এরপরই আবার ডাক্তার দেখান। তাতেই দেখা যায় পেটের ভিতর তালের মতো কিছু একটা নাড়াচাড়া করছে। এরপরই ডাক্তারকে দেখালে তাঁরা বলেন সবটা। মহিলার দাদার কথায়, স্বাস্থ্যসাথী না থাকলে এত বড় চিকিৎসা কীভাবে হতো জানা নেই। একদম বিনা পয়সায় অপারেশন হল।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অভিষেক দাসের কথায়, “আমাদের কলিগদের দেখান উনি। সকলেই বলেছেন ম্যালিগন্যান্ট। রোগী দেখানো শুরু করেন মাস ছয়েক আগে। রোগীর হার্টের সমস্যা আছে। তাই ওনাকে অনেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন হায়ার সেটআপে অপারেশন করাতে। আমরা ঝুঁকি নিয়েছি। এখনও রোগী সুস্থই আছেন। আশা করছি সুস্থভাবেই বাড়ি যাবেন।”