Egra Blast: এগরাকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা কেন? খোঁচা বিরোধীদের, যুক্তি শাসকের
Egra Blast: এদিকে সিআইডি-ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মত ছাড়া এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে নারাজ। সেখানে জেলা পুলিশ কেন লঘু ধারায় মামলা করল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এগরা: এগরা বিস্ফোরণের (Egra Blast) পর বারবার একটা নামই ঘোরাফেরা করছে নানা মহলে। ভানু বাগ। ভাল নাম কৃষ্ণপদ বাগ। তিনি আবার এলাকায় তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী হিসাবে পরিচিত বলে জানতে পারা যায়। তাঁর বাজি তৈরির কারখানাতে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ঘটনার পর থেকে তিনি ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর। এটা কি নিছক বাজির মশলায় আগুন লেগে বিস্ফোরণ নাকি পেটো বোমা বানাতে গিয়ে উড়ে গিয়েছে আস্ত একটা কারখানা? বারবার উঠছে সেই প্রশ্ন। এদিকে এরইমধ্যে অভিযোগ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। কেন দেওয়া হল লঘু ধারা? উঠছে সেই প্রশ্নও।
মাশরুম ক্লাউড অর্থাৎ ধোঁয়ার মেঘ। মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণের পর এই ছবিই এখন সবথেকে বেশি চর্চায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বহু টাকা খরচ করে মজবুতভাবে তৈরি বাজি কারখানা একেবারে ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছে। কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়ে পড়ে ২০ থেকে ২৫ মিটার দূরে রাস্তায় এবং কারখানা লাগোয়া পুকুরের মাঝখানে। এই কারখানা এলাকার বাসিন্দার ভানু বাগের বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু, কীভাবে হল বিস্ফোরণ? প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শুনে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, কারখানা লাগোয়া ধান মাঠে রকেট বাজি পরীক্ষা করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। রকেটটি আকাশে না উড়ে সোজা ঢুকে যায় কারখানায়। তাতেই অন্যান্য আতসবাজিতে লেগে যায় আগুন। কিন্তু, এখানে কি শুধুই আতসবাজি তৈরি হত নাকি বোমাও বাঁধা হত? নিহতদের পরিবারের সদস্যরা কিন্তু সাফ জানাচ্ছেন বোমাই তৈরি হত এই কারখানায়।
কেন মামলা হল না বিস্ফোরক আইনে?
এদিকে সিআইডি-ও (CID on Egra Blast Case) ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মত ছাড়া এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে নারাজ। সেখানে জেলা পুলিশ কেন লঘু ধারায় মামলা করল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ভানু বাগ, তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভানুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ৩০৪, ২৮৬ ও ফায়ার সার্ভিসেস অ্যাক্টের ২৪ ও ২৬ ধারায় FIR দায়ের হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। পুলিশ ভানু বাগের থেকে টাকা খেত। এই অভিযোগ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সুর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলায়।
তিনি বলেন, “৫০ হাজার টাকা প্রতিমাসে দেয় তো। তাই লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট না দিয়ে ফায়ার অ্যাক্ট দেওয়া হয়েছে। কী দুর্ভাগ্য আমাদের রাজ্যের।” বিস্ফোরক আইনে মামলা করলে এনআইএ তদন্তের দাবি জোরালো হয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু, তারপরও কেন দেওয়া হল না, এর পিছনে কী পুলিশের অন্য কোনও অভিসন্ধি আছে? উঠছে এই সকল প্রশ্নও।
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এগরাকাণ্ড সিআইডি নিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করা হবে। এখনই বিস্ফোরক আইন দিলে আইনের ফাঁক থাকবে। কাউকে আড়াল করার প্রশ্ন নেই । ফরেনসিক টিম তদন্ত করে বিস্ফোরণের আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।”