Lawyers protest: বসার জায়গা ছাড়াই উদ্বোধন হল কোর্টের নতুন ভবন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ আইনজীবীদের
Purba Medinipur: ভার্চুয়ালি এই ভবনের উদ্বোধন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
তমলুক : জেলা আদালতের নতুন ভবনের উদ্বোধন হয়েছে ধূমধামের সঙ্গে। কিন্তু প্রথম দিনেই বাধল বিপত্তি। কোথায় বসবেন আইনজীবীরা? বিতর্ক বাঁধতেই শুরু হল বিক্ষোভ।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক জেলা আদালত। আজ সেখানে নতুন ভবনের উদ্বোধন হয়। ভার্চুয়ালি এই ভবনের উদ্বোধন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
এরপরই আইনজীবীদের বসার জাগয়া নিয়ে দেখা দেয় সমস্যার। আইনজীবীদের দাবি, আদালতের নতুন ভবন হলেও আইনজীবীদের কোনও রকম বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি। তাদের আরও দাবি বিগত দিনে ডিস্ট্রিক্ট জাজ আইনজীবীদের মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তমলুক আদালতে কর্মরত আইনজীবীদের একটি বসার জায়গা দেওয়া হবে। কিন্তু কথায় আর কাজে কোনও মিল পাওয়া যায়নি।
এরপরই বসার জায়গা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। তাদের দাবি নতুন বিল্ডিং এর আশেপাশে আইনজীবীদের বসার জায়গা না থাকার ফলে কাজ করতে সমস্যা হবে তাদের। তাই যতক্ষণ না বসার ব্যবস্থা করা হছে ততক্ষণ কাজ বন্ধ থাকবে।
নতুন বিল্ডিং এর বসার জায়গার দাবিতে আইনজীবীরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতের বিল্ডিং এর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উদ্বোধনী দিনেই এই ধরনের গন্ডগোলের ফলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে কোর্ট চত্বর জুড়ে।
এদিকে, গতকাল হাইকোর্ট এক নজিরবিহীন নির্দেশ দেয়। বাবা বা মায়ের মধ্যে কেউ একজন না থাকলে সাধারণত অভিভাবকত্ব পায় অপরজন। বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে আদালত খতিয়ে দেখে, কাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া সম্ভব। কিন্তু একটি মামলায় এক নজিরবিহীন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মায়ের অবর্তমানে বাবাকে নয়, শিশুর অভিভাবকত্ব দেওয়া হল এক প্রতিবেশী মহিলাকে। শিশুর মায়ের বান্ধবী ওই মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মা আত্মঘাতী হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন বাবা। শিশুর অভিভাবকত্বের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। অভিভাবকত্ব না দেওয়া হলেও বাবার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে শিশুর বয়স সাড়ে চার বছর। ২০১৮ সালে শিশুর মা আত্মঘাতী হন। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ওই ঘটনার পরই শিশুর বাবা জেলে যান। এরপর থেকে দিদার কাছেই থাকত ওই শিশু। সম্প্রতি সন্তানের অভিভাবকত্বের দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন বাবা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।