Awas Yojana in Nandigram: ভোটার কার্ডই ছাড়াই মিলেছে আবাস যোজনার বাড়ি, অভিযোগ নন্দীগ্রামে
Awas Yojana in Nandigram: আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অনিমা ভুঁইয়া বলেন, শ্যামলী গিরি এই এলাকারই বাসিন্দা। ২০১১ সালে সমীক্ষায় দেখা যায় তাঁর আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন তিনি।
নন্দীগ্রাম: এলাকার ভোটার হিসেবে নাম নেই, তারপরও মিলেছে আবাস যোজনার বাড়ি। এমনই অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে। শুধু বাড়ি নয়, ওই মহিলা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকাও পান বলে অভিযোগ। ভোটার কার্ড না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এইসব সুবিধা তিনি পাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ওই মহিলার আত্মীয় তৃণমূল কর্মী বলেই এভাবে সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। তবে শ্যামলী গিরি নামে ওই মহিলার দাবি, তাঁর আধার কার্ড রয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছেন নন্দীগ্রামের ব্যাঙ্কে। কলকাতায় কাজ করলেও ওই এলাকার বাসিন্দা বলেই আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র কাছে গত শনিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এলাকার বাসিন্দা অতুল প্রামাণিক, বিশ্বনাথ ভুঁইয়া, রবিন গায়েন, সুবোধ দাস, মিলন পাত্রদের অভিযোগ, শ্যামলী গিরি নামে ওই মহিলা কলকাতায় থাকেন, ১৫৮ নম্বর বুথের যে ভোটার লিস্ট রয়েছে তাতেও তাঁর নাম নেই, অথচ তিনি আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন নন্দীগ্রামেই।
অপরদিকে শ্যামলী জানার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাসুর লক্ষ্মীকান্ত জানা জানিয়েছেন, শ্যামলী জানার স্বামী, সন্তান বেঁচে নেই। তিনি তার পেটের টানে রোজকারের আশায় কলকাতায় লোকের বাড়িতে কাজকর্ম করে নিজের দিন চালান। তিনি যেহেতু এই এলাকারই বাসিন্দা তাই তিনি ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন। এই লক্ষীকান্ত জানার ছেলেই ২০২৩-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের অপমান করার জন্য বিজেপি এভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীকান্ত।
আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান অনিমা ভুঁইয়া বলেন, “শ্যামলী গিরি এই এলাকারই বাসিন্দা। ২০১১ সালে সমীক্ষায় দেখা যায় তাঁর আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। সমস্ত প্রকার নথি খতিয়ে দেখার পরই তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে।” ওই এলাকার বিজেপি নেতার দিলীপ কুমার পাল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কাজ করেই থাকে। শুধু বাড়ি নিয়ে নয় সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি করছে।”
এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “শ্যামলী জানা এই এলাকারই বাসিন্দা। বিধবা মহিলা, পেটের টানে বাইরে রোজগার করার জন্য থাকেন। যেহেতু তার ভাইপো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল। সেই কারণেই বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই ধরনের কাজ করছে।”