AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Teachers in Purulia: ‘মজা হচ্ছে! আমরা খেলতে এসেছি?’ নিয়োগের দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান ৮৮ জন শিক্ষকের!

Purulia: "এখন ডিআই স্যর বলছেন দেখছি! এখন কেউ জয়েন করতে পারবেন না। এটা মজার জিনিস? আমারা এখানে খেলা করছি? আমরা শিক্ষিত মানুষ।''

Teachers in Purulia: 'মজা হচ্ছে! আমরা খেলতে এসেছি?' নিয়োগের দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান ৮৮ জন শিক্ষকের!
পুরুলিয়া শিক্ষা দফতরের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 4:46 PM
Share

পুরুলিয়া: কোভিডের (COVID) পর গত ১৬ নভেম্বর থেকে খুলেছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। তবে বিদ্যালয় খুললেও কাজে যোগ দিতে পারছেন না পুরুলিয়ার (Purulia) বিভিন্ন স্কুলের ৮৮ জন কম্পিউটার শিক্ষক (Computer Teacher)। তাই অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগের দাবি তুলে জেলা শিক্ষা ভবনে এসে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হলেন তাঁরা। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাজ্য শিক্ষা দফতরের চুক্তি অনুযায়ী জেলায় জেলায় স্কুল গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২০ সালে সালে সেইমতো ওই বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে একটি নিয়োগ পরীক্ষা হয়। তার পরই বিভিন্ন জেলার সঙ্গে পুরুলিয়ার ৮৮ জন যুবক যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় ওই বেসরকারি সংস্থা।

কিন্তু এ নিয়ে কোনও তথ্য নেই জেলা শিক্ষা দফতরের কাছে বলে দাবি। জেলা শিক্ষা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে এই নিয়োগ সংক্রান্ত কোন তথ্য না থাকায় বিদ্যালয়গুলিতে কম্পিউটার শিক্ষক শিক্ষিকাদের যোগদানের অনুমোদন দিতে নারাজ তিনি।

ফলে সমস্যায় জেলার ৮৮ জন কম্পিউটার শিক্ষক শিক্ষিকা। যদিও নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। সমস্যার সমাধান না হলে অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শিবানী ব্যানার্জি নামে এমনই এক তরুণীর কথায়, “করোনা আবহে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। পদ কম্পিউটার ইনস্ট্রাকটরের। পরে করোনার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। অনেক পরে ফেব্রুয়ারি মাসে জয়েনিংয়ের জন্য বলা হয় তার পর দীর্ঘ আট-নয় মাস কাজ করছি। স্কুল থেকেও বলা হয়, আপনারা কাজ করুন। পরে ডিআই-র কাছ থেকে মেইল এলে জয়েনিং করাব”। যদিও পুরুলিয়া শান্তময়ী গার্লস হাইস্কুলে গত দশমাস কাজ করেও তিনি কোনও পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি জানান ডিআই-র নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ হবে না! এই প্রেক্ষিতে বিক্ষোভে শামিল হন তাঁরা।

ওই তরুণীর মন্তব্য, “এখন ডিআই স্যর বলছেন দেখছি! এখন কেউ জয়েন করতে পারবেন না। এটা মজার জিনিস? আমারা এখানে খেলা করছি? আমরা শিক্ষিত মানুষ।” জেলা শিক্ষা দফতর থেকে স্কুলে মেল না গেলে তাঁরা সেখান থেকে নড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি শিবানী দেবীদের।

এদিকে বিদ্যালয় পরিদর্শক জানিয়েছেন এর সঙ্গে সরাসরি যোগ নেই তাঁর দফতরের। তবু বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, “ডিআই কীভাবে জয়েন করাবেন? এখান থেকে জয়েন করানো হয়নি। বিভিন্ন কোম্বানি ইন্টারভিউ নিয়ে স্কুলের নাম দিয়ে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু স্কুল বলেছে ডিআই-র নির্দেশ ছাড়া জয়েন করান যাবে না”। এ নিয়ে ওই কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। ডিআই-র দাবি, “অন্য জেলা কী করেছে, আমার জানার দরকার নেই। আমি নিয়ম মেনেই জয়েন করাব”।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ারের’ আদিগঙ্গা আছে সেই আদিতেই, মশার কামড়-কটূ গন্ধে অতিষ্ঠ তিলোত্তমাবাসী