Jhalda Municipality: তপন কান্দুর হত্যার পর থেকে চলছিল জল্পনা, ঝালদার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা কংগ্রেসের
Jhalda Municipality: অনাস্থা নিয়ে জেলাজুড়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এখনও অনাস্থার চিঠি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধান সুরেশ আগরওয়াল।
ঝালদা: আবার শিরোনামে ঝালদা পৌরসভা (Jhalda Municipality)। ছয় মাসের মেয়াদ পেরোতেই অনাস্থার ডাক ঝালদা পৌরসভায়। ৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব কংগ্রেসের (Congress)। বৃহস্পতিবার ঝালদা পৌরসভা, মহকুমা শাসক ও জেলাশাসককে অনাস্থা চিঠি জমা দেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলররা। এ প্রসঙ্গে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল বলেন, “পৌরসভা সঠিক ভাবে চলছে না। মানুষের পৌর বোর্ড গড়ার লক্ষ্যেই অনাস্থার ডাক দেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ঝালদা পৌরসভার মোট আসন ১২টি l শেষ পৌর নির্বাচনে ৫টি আসনে তৃণমূল, ৫ টিতে কংগ্রেস ও ২ টি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হনl এর মধ্যে একজন নির্দল প্রার্থী তিন নম্বর ওয়ার্ডের শীলা চ্যাটার্জি ফল ঘোষণার দিনেই আবার তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যদিকে আবার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু দুস্কৃতির গুলিতে খুন হনl যা নিয়ে গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতর তৈরি হয়। পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল একজন নির্দল কাউন্সিলর ও বাকিদের নিয়ে ঝালদা পৌর বোর্ড গঠন করে শাসক তৃণমূল। পৌরপ্রধান হন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল জয়ী প্রার্থী সুরেশ আগারওয়াল।
এরইমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলে পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ আট নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার মিলে মোট ছয় জন কাউন্সিলর ঝালদা মহকুমা শাসকের কাছে এবার অনাস্থার প্রস্তাব জমা দিলেন। যদিও এখনও অনাস্থার চিঠি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধান সুরেশ আগরওয়াল। এ বিষয়ে ঝালদা শহর বিজেপি সভাপতি বিজয় ভগতবলেন, “ঝালদা পৌরসভায় এটা একটা ট্যাডিশনাল অনাস্থা। তৃণমূল আসলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার। এরা বেশিদিন টিকবে না সেটা আগেই বুঝেছি।” এদিকে অনস্থা নিয়ে বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। নতুন পৌরবোর্ড আদৌও তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে চলছে চাপানউতর।