Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC: সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বহিষ্কার’ বলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তিনিই ফেরালেন দলে

Purulia: গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিশোর। তাঁর স্ত্রীও ভোটে লড়েন। তবে কিশোর জিততে পারেননি, স্ত্রী অঞ্জলি মাহাতো জয়ী হন। গতবারের আগের ভোটে অবশ্য জয়ী হন কিশোর। তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানও থেকেছেন সে সময়। তবে গত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে দলের থেকে সরে নির্দলে ভোটে লড়েন।

TMC: সাংবাদিক সম্মেলনে 'বহিষ্কার' বলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তিনিই ফেরালেন দলে
মানবাজারে যোগদান। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2024 | 6:19 PM

পুরুলিয়া: রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এই নেতাকে। ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হল, ঘোষণা করেছিলেন দলের বিধায়ক। ভোটের মুখে তিনিই ফিরলেন দলে। বিজেপির খোঁচা, হারার ভয়েই এসব করছে তৃণমূল। যাঁদের তাড়িয়েছিল, তাঁদেরই ফেরাতে হচ্ছে দলে। পুরুলিয়ার মানবাজার বিধানসভার গোপালনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় দলের প্রার্থী না হতে পেরে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোট লড়েন কিশোর মাহাতো।

গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিশোর। তাঁর স্ত্রীও ভোটে লড়েন। তবে কিশোর জিততে পারেননি, স্ত্রী অঞ্জলি মাহাতো জয়ী হন। গতবারের আগের ভোটে অবশ্য জয়ী হন কিশোর। তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধানও থেকেছেন সে সময়। তবে গত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে দলের থেকে সরে নির্দলে ভোটে লড়েন।

সেই সময়ই পুরুলিয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও মানবাজার বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু সাংবাদিক সম্মেলন করে কিশোর মাহাতোকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। রবিবার সেই বিধায়কই কিশোরের হাতে পতাকা তুলে দিলেন।

এই পর্বের যিনি সঞ্চালক ছিলেন, তাঁকে বলতে শোনা গেল, “অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়, রাজ্য কমিটির নির্দেশ অনুসারে আমাদের বিগত নির্বাচনে গীতাঞ্জলি মাহাতো যিনি নির্দল হিসাবে জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছিলেন এবং কিশোর মাহাতো যিনি যুব নেতা ছিলেন পুনরায় আমাদের দলে যোগদান করছেন। মানবাজার-১ ব্লক রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে মান্যতা দিয়েছি। মানবাজারের বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিচ্ছেন।”

এ বিষয়ে পুরুলিয়ার বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, তৃণমূল যা বলে তা করে না। ওনাদের নেতা জেলায় এসে বলেছিলেন, যাঁরা দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁদের দলে ফেরানো হবে না। হারার ভয়ে যাঁকে বহিষ্কার করেছিল তাঁকেই যোগদান করাচ্ছে। জেলায় যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে যে কাউকে যোগদান করিয়েও কোনও লাভ হবে না। আমরা ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জিতব।”