Jhalda Murder: কাউন্সিলর ‘খুনে’র প্রতিবাদে আজ পুরুলিয়ায় ১২ ঘণ্টা বনধ, শুনশান ঝালদা
Purulia: মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা কংগ্রেসের ডাকা পুরুলিয়া বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে।
পুরুলিয়া: রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এরপর মাঝে একদিন কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিজেপি প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। আর এসবের মধ্যে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার পুরুলিয়া বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এই বনধের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দূরবর্তী স্কুলগুলির শিক্ষকরা। মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি রয়েছে তাঁদের। কিন্তু গাড়ি কম থাকায় যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত পুলিশের হাতে এখনও কোনও তথ্য উঠে আসেনি। সোমবারই নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “তপন কান্দু খুনের ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন, পুলিশ যুক্ত। উদ্দেশ্য ঝালদা পুরসভা দখল করা। বাংলার পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে, তৃণমূলের দালালি করে, ভোটে সন্ত্রাস করতে সুযোগ দেয় এগুলো আমরা জানতাম। কিন্তু এখন তো দেখছি পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ বিরোধী দলের নেতাদের খুন করতে লেগে পড়েছে। এ ছবি ভয়ঙ্কর।” যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “কোনও পুরসভা জোর করে দখল করার জন্য তৃণমূল কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না। কোনও মারামারি, খুন জখমের কোনও প্রশ্ন নেই। তারা দেখুক সেখানে কী ঘটনা ঘটেছে। অন্য কিছু আছে কি না।”
মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা কংগ্রেসের ডাকা পুরুলিয়া বনধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি পরিবহণ রাস্তাঘাটে কম। যদিও বনধের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। এই বনধের সর্বাত্মক ছবি দেখা যাচ্ছে ঝালদায়। অর্থাৎ যেখানকার কাউন্সিলর খুনের প্রতিবাদে এই বনধ ডাকা হয়েছে। সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীরা পথে নেমে বনধের সমর্থনে মিছিল করেন। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে এর বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি।
জেলার মধ্যে সবথেকে বড় ও গুরুপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড হল পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড। সেখানে প্রায় সমস্ত বেসরকারি বাসই দাঁড়িয়ে। যাত্রী অনেকে এলেও ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। এখানে সরকারি বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম। বেসরকারি পরিবহণেই ভরসা রাখতে হয় সাধারণ মানুষকে। এই পরিষেবা সকাল থেকে বন্ধ। এক শিক্ষক জানান, “মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি আছে। বনধের জন্য বেসরকারি বাস একটাও নেই। একটা মাত্র সরকারি বাস। তার উপরেই সবটা নির্ভর করছে। সেটা ১১টায় পৌঁছবে। পৌঁনে ১২টা থেকে পরীক্ষা। একটা বাস মানে তা যে কতটা ঝুঁকির তাও বোঝাই যাচ্ছে। বাসে কোনও সমস্যা হলে পৌঁছনো মুশকিল হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন: Contai Municipality: চার দশকে এই প্রথম কাঁথিতে খর্ব ‘অধিকারীর’ অধিকার, এবার চেয়ারম্যান সুবল মান্না