Haunted Station Begunkodar: আর পাওয়া যাবে না ‘ভূতের’ দেখা! কালীপুজোর মধ্যেই হাল ফিরছে ‘ভূতুড়ে’ বেগুনকোদরের

Haunted Station Begunkodar: ইতিহাস বলছে, ১৯৬০ সাল নাগাদ এই স্টেশন গড়ে ওঠে। স্টেশন মাস্টার ছাড়াও তখন আরেকজন কর্মী ছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের রাঁচি ডিভিশনের এই স্টেশনের পাশের গ্রাম বামনিয়া। কিন্তু মৌজা বেগুনকোদর। তাই স্টেশনের নাম বেগুনকোদর।

Haunted Station Begunkodar: আর পাওয়া যাবে না ‘ভূতের’ দেখা! কালীপুজোর মধ্যেই হাল ফিরছে ‘ভূতুড়ে’ বেগুনকোদরের
অবশেষে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 11:54 PM

পুরুলিয়া: একসময় ভূতুড়ে স্টেশন (Haunted Station) বলে নাম হয়ে গিয়েছিল পুরুলিয়ার বেগুনকোদরের (Begunkodar of Purulia)। এবার সেই বেগুনকোদর স্টেশনের হাল ফিরছে। এলাকার মানুষ চান ভূতুড়ে স্টেশনের নাম মুছে গিয়ে এটি একটি ব্যস্ত স্টেশন হয়ে উঠুক। সেই সঙ্গে যে সব প্রচলিত কথা এই স্টেশন নিয়ে রয়েছে তা থেকেও নিস্তার পাওয়া যাক।  দক্ষিণ পূর্ব রেলের রাঁচি ডিভিশনের অন্তর্গত এই স্টেশনটি কোটশিলা মুরি শাখায় রয়েছে। বেগুনকোদর স্টেশনে ভূত রয়েছে এই খবর লোকমুখে প্রচারিত হয়ে যায় বহুকাল আগে। সুদূর অতীতে এক সময় এই স্টেশনটি একটি পূর্ণাঙ্গ স্টেশন ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে কোনও অজ্ঞাত কারণে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায়। 

রটে যায় এখানকার স্টেশন মাস্টার ভূতের ভয়ে রাতারাতি সব ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তারপর থেকে আর কেউ এখানে না আসায় স্টেশন কার্যত বন্ধই হয়ে যায়। বহু বছর বন্ধ হয়ে থাকার পর ২০০৭ সালে স্টেশনটি প্যাসেঞ্জার হল্ট হিসেবে চালু হলেও নামমাত্র কয়েকটি ট্রেনের দাঁড়ায় এখানে। এলাকার মানুষ এই ভূতুড়ে স্টেশনের নাম নিয়ে প্রথম থেকেই বিরক্ত ছিলেন। তাঁদের দাবি, ভূতের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একই দাবি স্থানীয় শিক্ষক পরমেশ্বর কুমারেরও। তিনি জানাচ্ছেন, যিনি সেই সময় স্টেশন মাস্টার ছিলেন তাঁর তিন মেয়ে। এলাকায় ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছিল মেয়েরা। বদলি চাইছিলেন তিনি। না মেলায় ভূতের গল্প ফাঁদেন।

ইতিহাস বলছে, ১৯৬০ সাল নাগাদ এই স্টেশন গড়ে ওঠে। স্টেশন মাস্টার ছাড়াও তখন আরেকজন কর্মী ছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের রাঁচি ডিভিশনের এই স্টেশনের পাশের গ্রাম বামনিয়া। কিন্তু মৌজা বেগুনকোদর। তাই স্টেশনের নাম বেগুনকোদর। ভূতুড়ে অপবাদে বন্ধ হওয়ার কয়েক যুগ পর বহু আন্দোলনে ২০০৭ সালে ওই স্টেশন ফের চালু হয়। কিন্তু রেল শর্ত দেয় শুধু দিনের বেলায় এই স্টেশনে ট্রেন থামবে। রেলের একজন এজেন্ট নিয়ে সেখানে টিকিট বিক্রি করা হবে। তারপর থেকে সেই রেওয়াজ আজও চলছে। তবে এই স্টেশনে যে ভূত নেই এই বিষয়টি প্রশাসন প্রমাণ করার পর এখন রাতেও ট্রেন থামছে। রেল দফতর থেকে স্টেশনে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। বেগুনকোদর স্টেশন আবার ব্যস্ত রেল স্টেশন হওয়ার দিকে এগোচ্ছে।