Jhalda Municipality: ‘আমার স্বামীর জয়’, ঝালদা পুরসভার কুর্সিতে বসে বললেন তপন কান্দুর স্ত্রী

Jhalda Municipality: শনিবার চেয়ারে বসেই প্রয়াত স্বামী তপন কান্দুকে স্মরণ করেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, "আদালত ও কংগ্রেস কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

Jhalda Municipality: 'আমার স্বামীর জয়', ঝালদা পুরসভার কুর্সিতে বসে বললেন তপন কান্দুর স্ত্রী
পূর্ণিমা কান্দু ও প্রয়াত তপন কান্দু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 12:53 PM

ঝালদা (পুরুলিয়া): আদলতের নির্দেশে এবার ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধানের চেয়ারম্যান পদে বসলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর (Tapan Kandu) স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (purnima Kandu)। শনিবার (আজ) ঝালদা পৌরসভায় ( সোয়া এগারোটা নাগাদ চেয়ারম্যানের আসনে বসেন তিনি। আর আসনে বসার পর আবারও ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের ধারনা সবে মিলে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের শাসকদলের।

শনিবার চেয়ারে বসেই প্রয়াত স্বামী তপন কান্দুকে (Tapan Kandu) স্মরণ করেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, “আদালত ও কংগ্রেস কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঝালদার মানুষের পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। তাই আমি চেষ্টা করব এখানকার মানুষের উন্নয়ন করার। বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করব। যখন তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল তখন ওরা আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলত না। কিন্তু আমরা এমনটা করব না। মানুষের পাশে দাঁড়াব। সব শেষে বলি, এই জয় আমার স্বামীর জয়। ঝালদার মানুষের জয়।”

প্রসঙ্গত, বিগত পৌর নির্বাচনের পর থেকেই ঝালদা পৌরসভার পৌর বোর্ড কে দখল করবে তা নিয়ে চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন। দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়ন চলছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা উচ্চ আদালত পর্যন্ত । অবশেষে শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের পদে সাময়িক ভাবে নিযুক্ত করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে। আজ তার দায়িত্ব ভার বুঝে নিলেন তিনি।

কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর থেকেই ঝালদা পৌরসভার অবস্থা টালমাটাল ছিল। প্রসঙ্গত, ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভায় ৫টি আসন কংগ্রেস পায়, তৃণমূলও পায় ৫টি আসন। বাকি ২টি জেতে দুই নির্দল প্রার্থী। দুই নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকারের সমর্থনেই প্রথমে বোর্ড তৈরি করেছিল তৃণমূল। কিছুদিন পরই সোমনাথ কর্মকার সরব হন, ঝালদায় কোনও উন্নতি হচ্ছে না। তিনি সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও ঘোষণা করেন। এরপর একই যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূলের বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ান শীলাও। এর কয়েক মাসের মধ্যেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। তাতে সমর্থন জানান দুই নির্দল কাউন্সিলর। এরই মধ্যে নির্দলের সোমনাথ কর্মকার আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগদানও করেন। আস্থা ভোটে জয়ী হলেও সে সময় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করতে পারেনি। রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রশাসক বসানো হয় ঝালদা পুরসভায়। যা নিয়ে হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস।

নির্দল শীলাকেই চেয়ারম্য়ান হিসাবে ঘোষণা করে কংগ্রেস। পূর্ণিমা কান্দুকে উপ-পুরপ্রধান ঘোষণা করা হয়। বুধবারই এই ঘোষণা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদই খারিজ করে দেন। কারণ, আগেই ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেখানে দাবি করেছিলেন, শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদটি থাকবে না। সেই অনুযায়ী মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি হয় বুধবার। এরপরই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশ দেন তিনি। অস্থায়ী পুরপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে। এরপরই আদালতে যাবেন বলে ২৪ ঘণ্টা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ঝালদার (Jhalda Municipality) শীলা চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলার শুনানির শুরুতে কংগ্রেসের কোর্টেই বল গড়াল।