Baruipur: বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গেলেই কিশোরীর বাড়িতে আসত প্রতিবেশী যুবক, নগ্ন ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সামনে এল সবটা
Baruipur: অভিযোগ, বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত যুবক। তাকে ও তার বাবা, মাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। শুধু তাই নয়, অ্যাসিড মারা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত।

বারুইপুর: মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি, মুখ খুললে ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রীর বাবা-মাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। নাবালিকার নগ্ন ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত নাবালিকার কাছ থেকে সব জেনে থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানায় এলাকায়। ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, বারুইপুর এলাকার বাসিন্দা নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত যুবক। তাকে ও তার বাবা, মাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। শুধু তাই নয়, অ্যাসিড মারা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত। কিশোরীর বাবা-মা সকালেই কাজে বেরিয়ে যান। তারপর কিশোরীর একাই থাকত বাড়িতে। অভিযোগ, সেইসময় ভয় দেখিয়ে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ওই যুবক। মাসচারেক ধরে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। কিশোরীর নগ্ন ছবিও তোলে অভিযুক্ত। সেই ছবিগুলি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাত। ভয়ে কিশোরী কাউকে কিছু বলতে পারেনি।
অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার পরই বিষয়টি সামনে আসে। তখন বাবা-মাকে সব জানায় কিশোরী। বৃহস্পতিবার রাতে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ (শুক্রবার) বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে ৷
ওই নাবালিকা বলে, “আমার মুখে অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দিত। কাউকে কিছু বললে আমার বাবা-মাকেও মেরে দেবে বলত। ভয়ে এতদিন কিছু বলতে পারিনি।”
নির্যাতিতার মা বলেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রী সকাল ৭টায় কাজে বেরিয়ে যাই। বাড়িতে তারপর একাই থাকত মেয়ে। তখন ছেলেটি আমাদের বাড়িতে আসত। আমার মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। ধর্ষণ করত। এতদিন ভয়ে মেয়ে কিছু বলতে পারেনি। ওই ছেলেটি নিজের বন্ধু ও আমাদের আত্মীয় পরিজনদের মেয়ের নগ্ন ছবিও পাঠায়। তখন মেয়ে সব কথা আমাদের জানায়। আমরা ওই যুবকের কঠোর শাস্তি চাই।”





