Awas yojana: আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ, নামখানায় তলব ৩০ উপভোক্তাকে
Awas yojana: প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নামখানার বাসিন্দা স্নেহাশীস গিরির কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কয়েক দফায় আবেদনকারী, পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও-কে নিয়ে শুনানি করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা।
নামখানা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আবাস দুর্নীতির তদন্তে জেলা প্রশাসন। মোট তিরিশ উপভোক্তাকে তলব করা হয়েছে। নামখানার বিডিও-র উপস্থিতিতে এই শুনানির নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই সকল উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকা পেয়েও অনেকে বাড়ি করেননি বলে জানা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনেক সরকারি কর্মচারি,ব্যবসায়ী,পাকাবাড়ির মালিক টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ। দু’দফায় অভিযুক্তরা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশে নামখানার বিডিও অমিত সাউ এই তদন্ত করছেন। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৪৯ জনের তালিকা ছিল। ব্লকের পক্ষ থেকে সমীক্ষা করার পর ৩০ জন উপক্ষোক্তার ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে। তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। শুনানির পর পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের নির্দেশে করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নামখানার বাসিন্দা স্নেহাশীস গিরি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে দ্রুত তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে কয়েক দফায় আবেদনকারী, পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও-কে নিয়ে শুনানি করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। এবার ব্লক প্রশাসন উপভোক্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এই নোটিস প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় চন্দনপিঁড়ির বাসিন্দা মতিলাল নায়েক ও নারায়ণ ওঝা। মতিলাল ছিলেন পঞ্চায়েত ও স্থানীয় একটি স্কুলের সুপার ভাইজার। এছাড়াও তাঁর অনেক ব্যবসা আছে। অন্যদিকে নারায়ণ পেশায় জেলা পরিষদের ঠিকাদার ও সম্পন্ন ব্যবসায়ী।
টিভি৯ বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল এই দু’টি বাড়িতেই। সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে, দোতলা বাড়ির দেওয়ালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ট্যাগ লাগানো হয়েছে। দুটি পরিবার দু’দফায় আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। অভিযোগ, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পরিবারের সদস্যরা মজুরি হিসেবে দফায় দফায় হাজার হাজার টাকা তুলেছেন।
নারয়ণ ওঝার ছোট ছেলে বলেছেন, “আমরা আগেই কিছুটা বাড়ি তৈরি করেছিলাম। বাবারা চার ভাই। তারাও কিছু কিছু অর্থ দিয়েছে। তারপর সরকার সাহায্য করেছে। আমাদের ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে। নোটিসের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।” বিডিও অমিত সাউ বলেছেন, “আমাদের তদন্ত শুরু হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের সকলকে ডাকা হয়েছে। আজ তাঁদের কথা শোনা হবে।”