Fraud Case: মেশিন থেকে টাকা বেরোনো আটকাতে ব্যবহার হত রড,নয়া কায়দায় এটিএম প্রতারণা

Sonarpur: অভিযুক্তের নাম ইশাক আলি। পরচুল পড়ে সে বিভিন্ন এটিএম-এর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করত।

Fraud Case: মেশিন থেকে টাকা বেরোনো আটকাতে ব্যবহার হত রড,নয়া কায়দায় এটিএম প্রতারণা
অপরাধীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2021 | 1:08 PM

সোনারপুর: আবারও এটিএম জালিয়াতি। এবার নতুন কায়দায় এটিএম প্রতারণার অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

অভিযুক্তের নাম ইশাক আলি। গতকাল গড়িয়া এলাকার বিভিন্ন এটিএম-এর কাছে ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। তখনই সন্দেহ হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ওই ব্যক্তিকে।

এরপর থানায় নিয়ে যেতেই তার কাছ থেকে পরচুলা,আয়রন রড, চুম্বক, সুক্রু-ড্রাইভার, আঁঠা লাগানোর টেপ, উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।

সেই সময় তাঁরা জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি এটিএম কাউন্টারে টাকা বেরনোর মুখে তারা আয়রন রড লাগিয়ে রাখত। কেউ কাউন্টার থেকে টাকা তুললে তার টাকা ওই এটিএমএর মুখে এসে আটকে যেত। টাকা না পেয়ে কাউন্টার ছাড়লেই অভিযুক্ত ব্যক্তি এটিএম-এ ঢুকে টাকা বেরানোর মুখ থেকে আয়রন রড খুলে টাকা বের করে নিত। বেশ কয়েকবছর ধরেই এই অসৎ কাজ করছিল সে।

অভিযুক্ত ঈশাক আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি বারাসত এলাকায়। অভিযুক্তকে আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হবে। আদালতে তোলা হলে ধৃতকে সাত দিনের জন্য পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানাবে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ এক আধিকারিক জানান, “আমাদের নরেন্দ্রপুর থানার একটি দল একজন যুবককে সন্দেহজনক ভাবে কয়েকটি এটিএমএর সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে। তারপর তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল খবর বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত যুবক ইশাক আলি তার বাড়ি বারাসতে। ওকে আটকের পর জানতে পারি এএটিএম থেকে টাকা চুরির জন্য অন্যরকম ফাঁদ পেতেছিল। এটিএম এর স্লটের মুখ বন্ধ করে রাখত তারা। এরপর কাসটোমার যখন সেই টাকা পেত না। তখন বেরিয়ে যেত। সেই সময় অভিযুক্ত ও তার বন্ধু মিলে ওই টাকা হাতিয়ে নিত।”

প্রসঙ্গত, গত পরশু অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে আরও একটি প্রতারণার খবর সামনে আসে। বন্ধ হয়ে যাওয়া জীবন বিমা প্রকল্প চালু করিয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ৬৭ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ ঈশ্বর দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সল্টলেকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে সঞ্জু শিকদার নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এদিকে ওই বৃদ্ধের একটি জীবন বিমার পলিসি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যা তিনি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছিলেন। সঞ্জুই তাঁকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। অভিযোগ, এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেন।

ওই বৃদ্ধের অভিযোগ, সঞ্জু তাঁকে কথা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকায় পুরনো বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসি আবারও চালু হবে। কিন্তু তেমনটা তো হয়ইনি। উল্টে অন্য বিপাকে পড়ে যান ৬৭ বছরের ওই বৃদ্ধ। তিনি জানতে পারেন, তাঁর নামে আরও ১৭টি নতুন পলিসি চালু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Corona Virus: ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দেশে একদিনে বাড়ল সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা, মৃত্যু কমে ২৮৯