Canning TMC: প্রধানের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা তছরূপের অভিযোগ, তুঙ্গে শাসকদলের কোন্দল
Canning TMC: তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধান পঞ্চায়েতের কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গী করেই এই দুর্নীতি করছেন। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিপুল টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা তছরূপ করেছেন প্রধান। কাজ না করে ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করেই টাকা তোলা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই উপপ্রধান। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তুঙ্গে শাসকদলের কোন্দল। অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যেমন খাল কাটা, পুকুর কাটা, রাস্তা তৈরি-সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা তছরূপ করেছেন তৃণমূলের প্রধান নন্দকিশোর সর্দার। আর এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের একই দলের উপ প্রধান মদন নস্কর। আর উপ-প্রধানের অভিযোগ, কাজ না করে সেই সমস্ত কাজের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বেআইনিভাবে। তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধান পঞ্চায়েতের কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গী করেই এই দুর্নীতি করছেন। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিপুল টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠছে।
এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন উপপ্রধান। তিনি ইতিমধ্যেই ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের বিডিও -র কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান নন্দকিশোর সর্দার। তিনি বলেন, “আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে উপপ্রধানকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না বলেই নানাবিধ চক্রান্ত করা হচ্ছে।” যদিও অভিযোগ পেয়ে একটি টিম তৈরি করে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস।
উপপ্রধানের বক্তব্য, “এই পঞ্চায়েতের যিনি প্রধান, তিনি দুর্নীতির রেকর্ড করে ফেলেছেন। তিনশোর মতো পুকুর না কাটিয়ে মাস্টার রোল করে টাকা তুলে নিয়েছেন। চারটে খাল না কাটিয়ে টাকা তুলেছেন। ৫৩ টা প্রকল্প চালু রেখে ২৩ টা প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়েছেন। এক একটা গ্রুপে চার লক্ষ পাঁচ লক্ষ করে টাকা। পুকুরেই উঠেছে ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা। আরও দুর্নীতি রয়েছে। ৩৭ টি প্ল্যান্টেশনের কাজ হয়েছে। মাস্টার রোল করেছেন ৭ লক্ষ। বাকি সব টাকা উড়িয়ে তুলে নিয়েছেন। গোপালপুর অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম সভা থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। হরিডিটির কোনও উদ্যান হয়নি, বাগানও হয়নি।”
অন্যদিকে, প্রধানের পাল্টা বক্তব্য, “কে করছেন অভিযোগ? অভিযোগ মিথ্যা। চার বছর আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি, কোনও সমস্যা হচ্ছে। কোনও অভিযোগ থাকলে তো আমাকেই জানাতে পারত। ও তো তৃণমূলেরই লোক নয়। ও তৃণমূলকে ভাঙতে সাহায্য করেছে।”
বিডিও জানিয়েছেন, “আমি গত শুক্রবার অভিযোগপত্রটা পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যেই একটা টিম গঠন করেছি। সেই টিম তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে। তদন্ত আজকে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। এরপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে।”
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: নির্দল কাঁটা সরানোর কাজ শুরু! একাধিক জেলায় বহিষ্কার করা হল একগুচ্ছ নেতাকে