Panchayat Election 2023: আরাবুল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, ভাঙড়ে ISF কর্মীর মৃত্যু ঘিরে চড়ছে পারদ

Arabul Islam: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ, সেদিন আরাবুল ও হাকিমুলের নেতৃত্বেই দুষ্কৃতীরা জমায়েত করেছিল।

Panchayat Election 2023: আরাবুল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, ভাঙড়ে ISF কর্মীর মৃত্যু ঘিরে চড়ছে পারদ
আরাবুল ইসলাম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2023 | 10:58 PM

ভাঙড়: ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন ঘিরে অশান্তিতে থেমে গিয়েছিল তিন-তিনটে তরতাজা প্রাণ। যার মধ্যে এক আইএফএস কর্মীর খুনের (ISF Worker Death) অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ, সেদিন আরাবুল ও হাকিমুলের নেতৃত্বেই দুষ্কৃতীরা জমায়েত করেছিল এবং দুষ্কৃতীদের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই আইএসএফ কর্মীর। যদিও ঘটনায় আরাবুল বা তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর এখনও করা হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

এদিকে দুই তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। আর এই নিয়েই চড়ছে রাজনীতির পারদ। কেন একই ধরনের অভিযোগে ভিন্ন ভূমিকা পুলিশের, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রশ্ন, ‘কেউ গ্রেফতার হয়েছে, পুলিশ কি তাঁর বাড়ি যাচ্ছে? পুলিশ তো তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিল। ওনাকে তো বিডিও অফিসেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। আজ পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও অপরাধীকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে?’

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে। অতীতে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার নামে শাসক শিবিরের নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি হেনস্থা করেছে বলেও দাবি তাঁর। কুণালের প্রশ্ন, ‘আদৌ সত্য়ি? নাকি এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? অভিযোগ মানেই সত্যি, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।’ তবে পুলিশ গোটা ঘটনাটি দেখছে বলেই জানান তিনি।

এদিকে যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এই অভিযোগ সাজানো এবং তিনি ঘটনার সময় সেখানে ছিলেনই না। উল্টে, তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আইএসএফ এই পরিকল্পনা করেছে বলেই দাবি আরাবুলের।

নওশাদ আবার বলছেন, এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের আগেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত ছিল। বাইরে থেকে গুন্ডা-মস্তান নিয়ে এসে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নওশাদের।