Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্লাবিত সুন্দরবন, নদী পেরিয়ে ভেসে এল একের পর এক হরিণ

একাধিক এলাকায় ভেঙে গিয়েছে নদী বাঁধ। আমফানের ক্ষত না সারতেই ইয়াসের (Cyclone Yaas) ধাক্কা।

প্লাবিত সুন্দরবন, নদী পেরিয়ে ভেসে এল একের পর এক হরিণ
হরিণগুলিকে উদ্ধার করেছেন গ্রামবাসীরা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 8:27 PM

সুন্দরবন: প্রত্যেক বছরই সাইক্লোনে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলবর্তী এলাকা। সুন্দরবন এলাকায় মেরামত হতে না হতেই প্রত্যেকবার ভাঙে বাঁধ। এক দিকে যেমন জনবসতি এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপদের মুখে পড়তে হয় মানুষকে। অন্য দিকে, প্লাবিত হয় জঙ্গলও। বন্য প্রাণীদের আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল আয়লার সময়। এ দিনও জল বাড়তেই ভেসে এল একের পর এক হরিণ।

আজ, বুুধবার সকালে পূর্বাভাস মতোই ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ইয়াস। সাগরদ্বীপের গা ঘেঁষে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফুলে ফেঁপে ওঠে নদী-সমুদ্র। বাঁধ ভেঙে জলের তোড়ে ভেসে যায় গ্রামের পর গ্রাম। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই হরিণগুলিকে তুলে আনলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোনাগাঁ, দয়াপুর, দুলকি ও ঝিঙাখালি- এই চার এলাকা থেকে মোট চারটি হরিণকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জল থেকে তুলে আনে তাদের। পরে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় জঙ্গলে জলস্তর বেড়ে গেএল এরা উঁচু জায়গার খোঁজ শুরু করে। আর সে ভাবেই হরিণগুলি বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যে জঙ্গল থেকে হরিণ বেরিয়ে এসেছে, সেখানেও বাস করে বাঘ, থাকে বুনো শুয়োরও। তবে এখনও পর্যন্ত আর কোনও প্রাণীর দেখা মেলেনি।

আরও পড়ুন: মিনিট খানেকের ঝড় ‘গিলে’ খায় সব কিছু, কেন হয় এমন টর্নেডো?

আমফানে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের বেশির ভাগ জায়গাতেই পোক্ত বাঁধ নেই। এলাকায় রয়েছে অগণিত নদী। আর তার ধারেই মানুষের বাস। ফলে নদীর জল বাড়লে চিন্তা বাড়ে বাসিন্দাদের। গোসাবা, কুলতলি-সহ একাধিক এলাকায় দেখা গিয়েছে সেই বাঁধ ভাঙার ছবি। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে গোসাবা, কালিবাসপুর, রাঙাবেলিয়া, কৈখালি, হালদারভেড়ি-সহ একাধিক এলাকার বাঁধ।