Diamond Harbour: জল গড়াল বহুদূর! চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় ‘প্রেমিকা’র পর গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল
Diamond Harbour: স্টেশন বাজারে বছর বত্রিশের রিয়ার কাপড়ের দোকান রয়েছে। রিয়ার সঙ্গে মৃত চিকিৎসকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসককে চাপ দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃত বার মালিক ও কাপড়ের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্রমেই জটিল হচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা। চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বার মালিক ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীয়ের পর এবার কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বাকিবিল্লা বোরহানি কলকাতা পুলিশের লর্ডসিনহা রোডের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অফিসে কর্মরত ছিলেন। বার মালিক অভিজিৎ দাসের ঘনিষ্ঠ বাকিবিল্লা ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গতকাল গভীর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত পুলিশ কর্মী মৃত চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষের উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার চালাত বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে ধৃত বার মালিক অভিজিৎ দাস।
বাকিবিল্লার নাম এফআইআর তালিকায় তালিকায় ছিল। অন্যদিকে এফআইআর তালিকায় নাম থাকা পুলিশের আরেক মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আজ দুপুরে ধৃত পুলিশ কর্মী বাকিবিল্লাকে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।
মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয় চিকিৎসক অভিজিৎ ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিয়াকে বুধবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত রবিবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে চিকিৎসক বছর পঁয়তাল্লিশের কল্যাণাশিস ঘোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তাঁর মেয়ে অভিজিৎ, রিয়া-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেলের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডায়মন্ড হারবার থানায়। এছাড়াও এফআইআরের তালিকায় বাকি চারজন প্রভাবশালীর মধ্যে পুলিশের এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টরেরও নাম রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় জেটিঘাটে বার চালাতেন বছর পঁয়ত্রিশের অভিজিৎ। অন্যদিকে স্টেশন বাজারে বছর বত্রিশের রিয়ার কাপড়ের দোকান রয়েছে। রিয়ার সঙ্গে মৃত চিকিৎসকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসককে চাপ দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃত বার মালিক ও কাপড়ের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
পুলিশের দাবি, তার জেরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন চিকিৎসক। এমনকি ওই চিকিৎসককে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না দিয়ে পরিকল্পনা করে নেশায় ডুবিয়ে রাখা হতো বলে অভিযোগ। ওই চিকিৎসকের পাশাপাশি একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন বলে পুলিশের জেরায় জানিয়েছে ওই বার মালিক অভিজিৎ দাস। এমনকি পুলিশের জেরায় তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই চিকিৎসকের টাকাতেই ডায়মন্ড হারবারে প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া দাস। আর এই স্বামী স্ত্রীয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের বিষয়টা ছিল লোক দেখানো। প্রাক্তন স্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যবসা চালাতেন ওই বার মালিকও।ন