সংসার সামলেই প্রথমে ব্যবসা, ধীরে ধীরে চাঁই হয়ে ওঠেন! দেহাতি মহিলার প্রভাব দেখে হতবাক পুলিশও

Diamond Harbour: কিছুদিন আগেই মাদক পাচারের তদন্তে নেমে সাফল্য পায় বারুইপুর জেলা পুলিশ। ২৩ জুলাই মাদক পাচারকারি অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংসার সামলেই প্রথমে ব্যবসা, ধীরে ধীরে চাঁই হয়ে ওঠেন! দেহাতি মহিলার প্রভাব দেখে হতবাক পুলিশও
মাদক পাচারে ধৃত মহিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2021 | 7:44 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) মাদক চক্রের পর্দাফাঁস। পুলিশের জালে একাধিক মাদক পাচারকারি। জালে চক্রের চাঁই এক মহিলাও।

ডায়মন্ড হারবার শহর ও তার আশেপাশের এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল মাদক বিক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার রাতে অভিযান চালায়। উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক দ্রব্য। পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত এক মহিলা পাণ্ডা সহ দুজনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বেলা ঘোষ ও হাসমত আলি সেখ দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বেলা ঘোষ ডায়মন্ড হারবারের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাইয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হাসমত মগরাহাটের মাহিতলার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে মাদক চক্রে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলারাই সক্রিয় হয়ে উঠছেন। তাঁরা সংসারও সামলাচ্ছেন, সঙ্গে ব্যবসাও। পুলিশি নজর এড়াতে এখন প্ল্যান বদলাচ্ছে পাচারকারিরাও।

আজ সন্ধে নাগাদ ডায়মন্ড হারবার শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাইয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় এসডিপিও মিতুন দে ও আইসি গৌতম মিত্র। উদ্ধার হয় গাঁজা-সহ প্রচুর মাদক। গ্রেফতার করা হয়েছে বেলা ঘোষ নামে মাদক পাচার চক্রের এক পান্ডাকে। বেলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতেই গ্রেফতার করা হয় হাসমত আলি সেখকে। তার কাছ থেকেও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

কিছুদিন আগেই মাদক পাচারের তদন্তে নেমে সাফল্য পায় বারুইপুর জেলা পুলিশ। ২৩ জুলাই মাদক পাচারকারি অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘুটিয়ারি শরিফ থানায় একটি কেস রেজিস্টার করেন তদন্তকারীরা। সাইমা নামে একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সাজিনা বিবি(২৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৪ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। মোট ৪টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে আছে। প্রায় ১ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে সাজিনা বিবি কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে হিরোইন নিয়ে আসতেন বলে জেরায় জানিয়েছেন। তারপর তাঁর সঙ্গে আরও কিছু মিশিয়ে বিক্রি করতেন।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা জুড়ে এই জাল ছড়ানো বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আরও অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি। আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে এসেছিলেন চিকিত্সা করাতে, তার আগেই হাসপাতালের পুকুরে ভেসে উঠল দেহ! রহস্য এসএসকেএম-এ