Abhishek Banerjee: ‘৫ বছর রান্নার গ্যাস ফ্রি-তে দিন, ৪২ কেন্দ্রে প্রার্থী তুলে নেব’, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম কয়েক দফায় কমার পর এখন কলকাতায় দাম ঘোরাফেরা করছে ৮৩০ টাকার ঘরে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অভিষেক যে চ্যালেঞ্জ করছেন লোকসভা ভোটের মুখে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
মথুরাপুর: ভোটের মুখে বিজেপিকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সাফ বক্তব্য, “পারলে ৫ বছর ফ্রিতে রান্নার গ্যাসের নোটিফিকেশন দিন। যদি নোটিফিকেশন দিতে পারেন তাহলে ৪২ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তুলে নেব।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন মথুরাপুরের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “আপনারা পারলে এখানে ১ হাজার টাকা গ্যাসটা ফ্রি করে দিন। একটা নোটিফিকেশন করুক কেন্দ্রীয় সরকার। বলুক আগামী ৫ বছর এক হাজার টাকার রান্নার গ্যাসটা ফ্রিতে দেব। ৪২টা লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাহলে প্রার্থী তুলে নেব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে কথা দিয়ে যাচ্ছে। এত বড় কথা বলে গেলাম। ক্ষমতা আছে? পারবেন? ওপেন চ্যালেঞ্জ।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম কয়েক দফায় কমার পর এখন কলকাতায় দাম ঘোরাফেরা করছে ৮৩০ টাকার ঘরে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অভিষেক যে চ্যালেঞ্জ করছেন লোকসভা ভোটের মুখে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করা কোনও সরকারের পক্ষে কী সম্ভব? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অভিষেককে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপিও। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গবাসী এটাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন না। এটাকে একটা বালখিল্য আচরণ বলেই মনে করছেন। তিনি রাজ্য সরকারের কেউ নন। তিনি দলের উত্তরাধিকারী। দলের মালিকানা আছে তাঁর কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর অবর্তমানে তিনিই দলের মালিক। এখনও পর্যন্ত এটাই ঠিক। তবে দল কতদিন থাকবে এটা অজানা।” এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, “তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন না রাজ্য সরকার যে টাকাটা পায় রান্নার গ্যাস, পেট্রোল ডিজেল থেকে তা ছেড়ে দিতে। তারপর নরেন্দ্র মোদী চিন্তাভাবনা করবে। কোভিডকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের উপর থেকে প্রতিটা রাজ্য তাঁদের প্রাপ্য টাকা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী দুবার কমিয়েছেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক টাকাও কমায়নি।”