Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

WB Panchayat Election: ‘এমন নিরাপত্তা থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না’, ভোট দিতে এসে কেঁদে ফেললেন মৃত আনিসুরের মা

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ জুলাই পুনরায় ভোট হচ্ছে ফুলমালঞ্চ পুরের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পাঞ্জাব পুলিশ, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় পুলিশের বিশাল বাহিনী রয়েছে।

WB Panchayat Election: ‘এমন নিরাপত্তা থাকলে আমার ছেলেকে মরতে হত না’, ভোট দিতে এসে কেঁদে ফেললেন মৃত আনিসুরের মা
ক্যানিংয়ের এসডিপিও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2023 | 11:35 AM

ফুলমালঞ্চ: ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন আনিসুর ওস্তাগার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল তাঁর ভোটকেন্দ্র। সেই বিদ্যালয়ের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথের সামনে শনিবার মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন ভোটাররা। বোমার আঘাত ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল কর্মী আনিসুর ওস্তাগিরের। ওই দুই বুথে সোমবার হচ্ছে পুনর্নির্বাচন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে সুষ্ঠভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। বোমাবাজিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আনিসুরের পরিবারও ভোট দিয়েছেন সোমবার।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ জুলাই পুনরায় ভোট হচ্ছে ফুলমালঞ্চ পুরের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পাঞ্জাব পুলিশ, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় পুলিশের বিশাল বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় সমগ্র এলাকা। এদিন সকালে মৃত আনিসুর ওস্তাগারের পরিবার ভোট দিতে আসে। ভোট দেওয়ার পর মৃতের মা আমেনা ওস্তাগার বলেন, “সেদিন যদি এমন নিরাপত্তা থাকতো তাহলে হয়তো আমার ছেলেকে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে মারতে পারত না। দুষ্কৃতীদের চরমতম শাস্তি চাই।” কান্না ভেজা গলায় তিনি আরেও বলেন, “আমার ভোট দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিল না। আমার বৌমা করিমা ওস্তাগার আমার ভোট দিয়েছে।” অন্যদিকে মৃতের বৌদি তথা ১০৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রোকেয়া ওস্তাগার কাঁদতে কাঁদতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সোমবার।

মৃত আনিসুরের বাবা রুহুল কুদ্দুস ওস্তাগার বলেছেন, “আগের দিন সুস্থ ভাবেই ভোট হচ্ছিল। তাই আমি ভোট দিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। ছেলে এলাকার লোকেদের ভোট দিতে নিয়ে এসেছিল। তার পর বোমাবাজি হয়েছিল। এখানে বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল। ওরা প্রথমে নির্দল দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আইএসএফ-কে সমর্থন করছিল। ওরাই ঘটিয়েছে।”

সোমবার পুনর্নির্বাচন নিয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেছেন, “আমরা প্রচুর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোট হচ্ছে। আমরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। আমাদের উপর মানুষ বিশ্বাস রেখেছে। মানুষ এসে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছে। মৃতের পরিবারের লোকেরাও আজ ভোট দিয়েছে।”