School: শিক্ষিকা নয়, তাঁর ছেলে ও বৌমা রোজ ক্লাস নিচ্ছেন কচিকাঁচাদের

School News: জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের রাজাপুর-করাবেগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। স্কুলের শ্রেণি কক্ষ সহ সমস্ত স্কুলের ভবন দেখলে মনে হবে যেন ভূতের বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুল বিল্ডিংটি।

School: শিক্ষিকা নয়, তাঁর ছেলে ও বৌমা রোজ ক্লাস নিচ্ছেন কচিকাঁচাদের
শিক্ষিকার পুত্র ও পুত্রবধূImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2023 | 5:04 PM

জয়নগর: দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে জয়নগরের অবৈতনিক স্কুল। প্রায় তিনশো জন পড়ুয়া রয়েছে সেখানে। তবে স্কুলে উপস্থিত পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করছেন শিক্ষিকার পুত্র ও পুত্রবধূ। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের রাজাপুর-করাবেগ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। স্কুলের শ্রেণি কক্ষ সহ সমস্ত স্কুলের ভবন দেখলে মনে হবে যেন ভূতের বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুল বিল্ডিংটি।

স্কুলে কেবল মাত্র একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা। দু’জনেই অসুস্থ স্কুলের আসতে পারেন না। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকার ভূমিকায় দেখা গেল স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকা বাসন্তী বালা হালদারের পুত্র সনাতন হালদার ও পুত্রবধূ সরস্বতী নাইয়াকে। বর্তমানে এরাই দুজনেই স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

অভিভাবকদের দাবি স্কুলে আগে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল বর্তমানে সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। প্রায় ২ বছর ধরে বর্তমান শিক্ষিকা বাসন্তী বালা হালদারের পুত্র ও পুত্রবধূ বর্তমানে স্কুলে ক্লাস নেন ছাত্র ছাত্রীদের। স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার কাজে নিযুক্ত কর্মচারীরা ঠিক সময় বেতন পান না বলে অভিযোগ।ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের মিড ডে মিলের কাজে নিযুক্ত কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্কুল পরিদর্শক কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, “এই স্কুলের শিক্ষক ক্যান্সারে আক্রান্ত। অন্যদিকে, দিদিমণি শারীরিক অসুস্থতার জন্য দুবছরের জন্য ছুটি। স্কুলটিকে ভালভাবে চালানোর অস্থায়ীভাবে শিক্ষক আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকও দ্রুত নিয়োগ হবে।” সনাতন হালদার নামে স্কুল শিক্ষিকার ছেলে যদিও বলেছেন, তিনি স্কুলে আসেন না। শুধু পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার জন্য এসেছেন।