Royal Bengal Tiger: সেয়ানা দক্ষিণরায়, পাতা ফাঁদ এড়িয়ে দিব্যি ঘুরছে লোকালয়ে
Royal Bengal in Locality: দক্ষিণ ২৪ পরগনার এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিজ্ঞ বনকর্মীদের একটি দল ইতিমধ্যে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়া বনদফতরের রামগঙ্গা, ধনচি ও রায়দিঘি রেঞ্জের অফিসাররা উপস্থিত আছেন। সোমবার গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আরও বেশি অংশ নাইলন জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রাতে বনকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা টায়ার, মশাল জ্বালিয়ে রাত পাহারা দিয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকালয়ে ঢুকেছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। তাকে ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচা, ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বনদফতর। কিন্তু যে এলাকায় এই ঘটনা, সেখানে জঙ্গল এতটাই ঘন যে ড্রোন উড়িয়ে আদৌ কিছু দেখা সম্ভব নয়। তাই বনকর্মীদেরই নামানো হয়েছে জঙ্গলে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তার অবস্থান বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর বাঘের এলাকায় ঢুকে পড়ার খবরে পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর গ্রামপঞ্চায়েতের উপেন্দ্রনগর রাত জাগছে। দিনেও ঘরে শান্তি নেই।
সোমবার বিকালে ঠাকুরাইন নদীর লাগোয়া জঙ্গলে ছাগলের টোপ দিয়ে দুটি খাঁচা পাতে বনদফতর। কিন্তু দক্ষিণরায়ের দেখা মেলেনি। সকালে বনকর্মীরা দেখেন বাঘটি ঘেরা জালের চারপাশে ঘোরাঘুরি করলেও খাঁচার আশেপাশে যায়নি। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত ঠাকুরান নদী সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছিল বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বনদফতরও বাঘটিকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। নদীতে স্পিডবোটে করে জঙ্গলে থাকা বাঘের উপর নজরদারি চালাচ্ছন বনকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার নতুন বাঘবন্দি করতে নতুন করে চাল দিতে পারে বনদফতর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এডিএফও অনুরাগ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিজ্ঞ বনকর্মীদের একটি দল ইতিমধ্যে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়া বনদফতরের রামগঙ্গা, ধনচি ও রায়দিঘি রেঞ্জের অফিসাররা উপস্থিত আছেন। সোমবার গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আরও বেশি অংশ নাইলন জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। রাতে বনকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা টায়ার, মশাল জ্বালিয়ে রাত পাহারা দিয়েছেন।
গত তিন দিন ধরে এই এলাকার নদীর চর, চাষের জমির একাধিক জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীর। ভয়ে বিকাল গড়াতেই নিজেদের ঘরবন্দি করছেন তাঁরা। প্রতিদিনের চাষবাস, নদীতে মাছ, কাঁকড়া ধরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই এলাকায় গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাঘের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। পাশের ধনচির জঙ্গল বাঘেদের ডেরা। সেই জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বলে বনদফতরের অনুমান। প্রতি বছর শীতে সুন্দরবনজুড়ে বাঘেরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। চলতি বছরে কুলতলির মৈপীঠে বাঘ ঢুকেছিল। পরে বনকর্মীরা বাঘটিকে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয়।