Tiger Attack: কাঁকড়া ধরার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ, সুন্দরবনে মৃত্যু মৎস্যজীবীর

Sundarban: তিন জন মৎস্যজীবীর একটি দল কাঁকড়া ধরতে উপস্থিত হয় সুন্দরবনের বাগনা রেঞ্জ অফিসের ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গলের গোলভক্সা খাঁড়িতে। সেখানে বিকালে যখন তারা কাঁকড়া ধরছিলেন সেই সময় সুন্দরবন জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে।

Tiger Attack: কাঁকড়া ধরার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ, সুন্দরবনে মৃত্যু মৎস্যজীবীর
বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীর মৃত্যু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2023 | 5:56 AM

গোসাবা: সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া নদী খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। মৃত ওই মৎস্যজীবীর নাম ননীগোপাল মন্ডল (৩৪)। মৃত মৎস্যজীবীর বাড়ি গোসাবা ব্লকের ২ নম্বর সাতজেলিয়া এলাকায়। শনিবার সকালে তিন জন মৎস্যজীবীর একটি দল কাঁকড়া ধরতে উপস্থিত হয় সুন্দরবনের বাগনা রেঞ্জ অফিসের ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গলের গোলভক্সা খাঁড়িতে। সেখানে বিকালে যখন তারা কাঁকড়া ধরছিলেন সেই সময় সুন্দরবন জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে পিছন থেকে বাঘটি আচমকা ওই মৎস্যজীবীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ননীকে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাঘ।

সাতজেলিয়া এলাকায় কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন মোট তিন জন। মৃত মৎস্যজীবী ননীর উপর যখন বাঘ আক্রমণ করে তখন তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য দুই মৎস্যজীবী বাঘের আক্রমণ থেকে ননীকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন বলে দাবি। চলে বাঘে মানুষের লড়াই। শেষ পর্যন্ত ভয়ঙ্কর বাঘের রুদ্র মূর্তির কাছে অসহায় হয়ে পড়েন ওই দুই মৎস্যজীবী। পরিস্থিতি ভয়ানক বুঝতে পেরে তাঁরা জঙ্গল থেকে পালিয়ে আসেন। সেখান থেকে ফিরে এসে তাঁরা ঘটনার খবর দেয় ব্যাঘ্র প্রকল্পের অফিসে। বাগনা বনদফতরের অফিস থেকে বেশ কয়েকজন কর্মী উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। যেখানে বাঘটি মৎস্যজীবীদের দলটির উপর আক্রমণ করে সেখানে তাঁরা দেখতে পান ওই মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গভীর জঙ্গলের দিকে। দেহটি বনদফতর ও মৎস্যজীবীরা মিলেই বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাঘের হানায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মৎস্যজীবীর।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় কথা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে ২ নম্বর সাতজেলিয়া গ্রামে। সুন্দরবন উপকূল থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অন্যদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছেন মৃত মৎস্যজীবীর স্ত্রী জ্যোৎস্না মণ্ডল ও তাঁর ১০ বছরের মেয়ে ও ১২ বছরের ছেলে।