Man’s Death: হেলমেট পরেও রক্ষা হল না! গাড়ি ধাক্কায় মোটর বাইক থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল ব্যক্তির
South 24 pargana: বাসন্তি যাওয়ার পথে মাতলা নদীর ব্রিজে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাতসকালে মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল মাছ ব্যবসায়ীর। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভোলা রাউথ। বাড়ি বাসন্তি থানা এলাকায়। আজ একদম ভোর নাগাদ ক্যানিয়ের মাছের আড়ত থেকে মাছ কিনে বাইকে চড়ে বাসন্তির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। ভোলাবাবুর মাথায় হেলমেট পরা ছিল। কিন্তু তারপরও কিছুই হল না।
বাসন্তি যাওয়ার পথে মাতলা নদীর ব্রিজে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাঁকে। ধাক্কা মারার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। যেহেতু শীতের সকালে কুয়াশা রয়েছে সেই কারণে ঘাতক গাড়িটির কোনও খোঁজ মেলেনি।
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজের উপর পড়ে রয়েছে ওই মাছ ব্যবসায়ীর হেলমেট পরিহিত দেহ। সেই সঙ্গে রয়েছে মোটরবাইক ও অনেক রকমের মাছ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে যায় থাকা ক্যানিং থানার পুলিশ। পরে সেখানে আসে বাসন্তী থানার পুলিশও।
অন্য মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে, ক্যানিংয়ের মাছের বাজার থেকে মাছ কিনে নিয়ে তিনি বাসন্তীর দিকে যাচ্ছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে। আর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। ব্রিজের ওপর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাসন্তী থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘাতক গাড়িটিকেও চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, শীতের সকালে কুয়াশায় যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় সেই কারণে বড় উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলা দূরপাল্লার পণ্যবাহী লরি চলাচল বন্ধ করল ট্রাফিক পুলিশ। রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত দূরপাল্লার কোনও লরিই চলাচল করবে না ক’দিন।
রাতের সময়টা কুয়াশার দাপট অনেকটাই থাকে। যার জেরে দৃশ্যমানতা থাকে কম। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। এইজন্যই পুলিশের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশের তরফ থেকে রীতি মত অনুরোধ করা হয়েছে যাতে এই সময় টুক যেন লরি না চালান হয়।
এবার, এই উদ্যোগে শনিবার ধূপগুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ধূপগুড়ি ট্রাফিক গার্ডের তরফ থেকে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির অংশ হিসেবে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হয়। গাড়ি গুলি সামনে ও পেছনে রিফ্লেক্টর স্টিকার আটকানো দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোনও গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলে দূর থেকে চলন্ত গাড়ির আলো সেটিতে পড়লে চকচক করবে। যার জেরে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা খানিকটা হলেও কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণত দেখা যায় শীতের রাত ও ভোরে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষ করে শীতের দিনে কুয়াশার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা হয়েছে ইতিপূর্বে। পাশাপাশি এই সমস্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে।