Tender: ই-টেন্ডার পাইয়ে না দেওয়ায় পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত প্রধানের স্বামী, ভাসুর! প্রতিবাদে ডেপুটেশন কর্মচারী সমিতির

মারধরের পাশাপাশি আক্রান্ত পঞ্চায়েত সচিব মহম্মদ সাজামলকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর আক্রান্ত কর্মী পঞ্চায়েতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি দুটি কানে ভাল করে শুনতেও পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কুলপির বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আক্রান্ত কর্মী।

Tender: ই-টেন্ডার পাইয়ে না দেওয়ায় পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত প্রধানের স্বামী, ভাসুর! প্রতিবাদে ডেপুটেশন কর্মচারী সমিতির
প্রতিবাদে কর্মচারী সংগঠন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 7:08 AM

কুলপি: আত্মীয়কে ই-‌টেন্ডার পাইয়ে না দেওয়ায় পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে ঘর বন্ধ করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে। মারধরের পাশাপাশি আক্রান্ত পঞ্চায়েত সচিব মহম্মদ সাজামলকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর আক্রান্ত কর্মী পঞ্চায়েতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তিনি দুটি কানে ভাল করে শুনতেও পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কুলপির বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আক্রান্ত কর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢোলাহাট থানায় বিডিওর তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২৪ মে দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু তার পর থেকে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল ও তাঁর দাদা আবুল কালাম কয়াল গ্রেফতার হননি। প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতির যৌথ কমিটির ডাকে আজ কুলপি বিডিও অফিসে অবস্থান-‌বিক্ষোভ করা হয়। বিডিও সৌরভ গুপ্তকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আগামী দিনে ব্লকের সব পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা করমবিরতি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী নেতৃত্ব।

তৃণমূল নেতাদের হাতে আক্রান্ত পঞ্চায়েত কর্মী মহম্মদ সাজামল বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান রুবিয়া বেগম কয়ালের আত্মীয়কে ই-‌টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। আমি রাজি না হওয়ায় দরজা বন্ধ করে মাটিতে ফেলে কিল-‌চড়-‌ঘুষি মারে প্রধানের স্বামী ও ভাসুর। আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে ঢোলাহাট থানায় এফআইআর করতে যেতে পারিনি। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমি ওই পঞ্চায়েতে কাজ করতে রাজি নই।” পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় বলেন, “এই ঘটনা নিন্দনীয়। রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে কর্মচারী কাজ করতে চাইছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হবে।”

যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল মারধরের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। প্রধান আমার স্ত্রী। আমি কেন পঞ্চায়েতে যাব। ওই পঞ্চায়েতে গত আট মাসে কোনও টেন্ডার হয়নি।” তবে কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার পঞ্চায়েতে গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যোগরঞ্জন হালদার বলেন, “ওই পঞ্চায়েত কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেই ঘটনা নিয়ে একটা মারপিট হয়েছে বলে শুনেছি। দু’‌পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।”