Partha-Arpita: পার্থ ‘বিশ্রামে’ এলে সঙ্গী হতেন অর্পিতাও, সে বাগানবাড়ির তালাতেও এখন মরচে ধরেছে
Baruipur: বেগমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে এই পুঁড়ী গ্রাম। চারপাশ সবুজে ঘেরা। শহুরে ক্লান্তি, একঘেয়েমি, দূষণ থেকে এ যেন একেবারে টাটকা বাতাসের ভরকেন্দ্র। সেখানেই বিশ্রাম নামে এক বাগানবাড়ি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক বছর আগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয় ‘অপা’। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সে সময় একজনের পরিচিতি ছিল মডেল হিসাবে। অন্যজন ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। সেসব মন্ত্রিত্ব এখন চুকেবুকে গিয়েছে। জেলে রয়েছেন কয়েক কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। মডেলও এখন সংশোধনাগারে গরাদ-বন্দি। এই এক বছরে পার্থ ও অর্পিতার অপার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ, অর্পিতার গ্রেফতারির পর প্রথম প্রথম চোখ ধাঁধানো সম্পত্তির খোঁজ মিলত নিত্যদিন। বোলপুর থেকে বেলঘরিয়া হয়ে বারুইপুর। জমিজমা, বাগানবাড়ি, ফ্ল্যাট, পার্লার কী নেই। বারুইপুরে এরকমই একটি বাগানবাড়ির খোঁজ পায় ইডি। নাম ‘বিশ্রাম’। বারুইপুর থানার তেঁতুলিয়ার পুঁড়ী গ্রামে এই বাগানবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ বাড়ি নাকি পার্থর। পার্থর মেয়ে সোহিনীর নামে এই বাড়ি বলে দাবি করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে এটা কেনা হয় বলেও দাবি করেছিলেন এক তৃণমূল নেতা।
বেগমপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে এই পুঁড়ী গ্রাম। চারপাশ সবুজে ঘেরা। শহুরে ক্লান্তি, একঘেয়েমি, দূষণ থেকে এ যেন একেবারে টাটকা বাতাসের ভরকেন্দ্র। সেখানেই বিশ্রাম নামে এক বাগানবাড়ি। সূত্রের দাবি ছিল, এখানে শহুরে ক্লান্তি মুছে ফেলতে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনও এলাকা সূত্রে জানা যায়, সঙ্গে আনতেন বান্ধবী অর্পিতাকেও।
এক বছর হল পার্থ-অর্পিতা জেলে। বিশ্রাম বাগানবাড়ির গেটে ঝোলানো তালায় জং পড়ে গিয়েছে। চরম অবহেলায় চারপাশে গাছপালা আগাছা ঘিরে ধরেছে। রং চটেছে গেটের। বারুইপুরের কাটাখাল-উত্তরভাগ যাওয়ার রাস্তার একেবারে ধারে থাকা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা এই বাগানবাড়ি যেন পরিত্যক্ত দুর্গ। চরম অযত্নে পড়ে আছে তা। এক সময় এখানে তৃণমূল নেতাদের প্রায় সবসময়ই যাতায়াত ছিল। বিশেষ করে পার্থ এলে বাইরে তো নেতাদের ভিড় লেগে যেত। শীত পড়লে নাকি পিকনিকও হতো এখানে। তবে সেসব এখন বিশ্রামে!