CPIM: জয়নগরে বামেদের বাধা পুলিশের, ‘গলা টিপে ধরেছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলা কর্মীর

CPIM: প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা খুনের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর। শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও। এর আগে সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়রা ওই গ্রামে আসার চেষ্টা করলেও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

CPIM: জয়নগরে বামেদের বাধা পুলিশের, ‘গলা টিপে ধরেছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ মহিলা কর্মীর
ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 4:19 PM

জয়নগর: ফের উত্তপ্ত জয়নগর। ত্রাণ নিয়ে ঢোকার মুখে জয়নগরে বাধার মুখে সিপিএম (CPIM)। পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে সিপিএম নেতারা। সিপিএম নেতা-সহ মহিলা সংগঠনকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিন ত্রাণ নিয়ে দলুয়াখাকি গ্রামে আসছিল তাঁরা। গ্রামে ঢোকার মুখে তাঁদের আটকে দেয় বারুইপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হন সায়নরা। ফিরে গিয়েছেন দক্ষিণ বারাসতের পার্টি অফিসে। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা আবার দলুয়াখাকিতে আসবেন। পাশে দাঁড়াবেন গ্রামের বাসিন্দাদের। 

প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা খুনের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জয়নগর। শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও। এর আগে সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়রা ওই গ্রামে আসার চেষ্টা করলেও তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী দলুয়াখাকিতে আসার চেষ্টা করলে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলেরও পথ আটকে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের দাবি, আপাতত বাইরের কোনও লোকের এলাকায় ঢোকার কোনও অনুমতি নেই। সে কারণেই তাঁদের এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। নতুন করে যাতে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়। আমাদের ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়।’ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দলের এক মহিলা কর্মী বলেন, ‘আমার তো গলা টিপে ধরেছিল পুলিশ।’