Primary Recruitment: প্যানেলে নাম নেই, বেরিয়ে গেল নিয়োগপত্র! চক্ষু চড়কগাছ সংসদের
Primary Recruitment: গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ বেড়েছে। শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েক জানিয়েছেন, তাঁর সইও নকল করা হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবার: প্রাথমিক নিয়োগের পাশ করা প্রার্থীদের মধ্যে নাম ছিল না। অথচ তাঁদের নামেই ইস্যু হয়ে গিয়েছে নিয়োগ পত্র। হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি দেখেই চোখ কপালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের। অবিকল নকল করা হয়েছে সই, এনভেলপের চেহারাও একই। খতিয়ে দেখেই কর্তারা বুঝতে পেরেছেন ওই নিয়োগ পত্র আসলে ভুয়ো। শুরু হয়েছে তদন্ত।
গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, সোনারপুর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় মোট চারজন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময়ই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এরপরই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে তদন্তের আবেদন জানানো হয়। এবার ফের ভুয়ো নিয়োগপত্রের ছবি দেখে উদ্বিগ্ন খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্মকর্তারা।
২০০৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮৩৪ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। বাকি তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলে। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ বেড়েছে।
শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত কুমার নায়েক জানিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবার পোস্ট অফিস থেকেই এই নিয়োগপত্র দুটি পাঠানো হয়েছিল সাগর এলাকার দুই চাকরি প্রার্থীকে। নিয়োগপত্রের এনভেলপ, এমনকী আমার স্বাক্ষরও নকল করা হয়েছে ভুয়ো নিয়োগপত্র দুটিতে। তদন্তের জন্য সংসদের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে।’