Fisheries: ছোট ইলিশ ধরার নামে জুলুমবাজি, মৎসদফতরের বিরুদ্ধে ফুঁসল ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবী সংগঠন
Diamond Harbour: প্রণব করের দাবি, সকলের সামনে মাছ বিক্রি করে ৫০ শতাংশ টাকা মালিককে দিতে হয়, ৫০ শতাংশ সরকারের কাছে যায়। সেটা মানা হয়নি। মালিককে খবরই দেননি, অথচ মাছ বিক্রি করে দিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছোট ইলিশ ধরার নামে জুলুমবাজি চালানোর অভিযোগ উঠল জেলা মৎস্য দফতরের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশন পথে নামে। ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্রনগর থেকে মিছিল করে স্থানীয় নিউটাউনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারি মৎস্য অধিকর্তার অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তা, ট্রলার মালিক ও মৎস্যজীবীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত মাসের ২৯ তারিখ ফ্রেজারগঞ্জের ৬টি ট্রলারের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ইলিশ বাজেয়াপ্ত হয়। বিপুল টাকার বিনিময়ে মৎস্য দফতরের কর্মীদের একাংশ তা বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ সংগঠনের। যদিও জেলার সহকারি মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দারের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই সবটা হয়েছে।
মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত মাছ বিক্রির করার পর সিজার লিস্ট দেওয়ার কথা ছিল ট্রলার মালিকদের। অথচ তা দেওয়া হয়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রণব কর বলেন, “এডিএফ মেরিনের কাছে এসেছিলাম। বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিলাম, উত্তর দিতে পারেননি। তবে গত ২৯ তারিখ ফ্রেজারগঞ্জে যে দু’টি মাছের গাড়ি উনি সিজ করেছেন, থানায় নিয়ে গিয়েছেন। বলেছেন থানায় নিলাম করেছেন। অথচ আজ বলছেন, এডিএফ মেরিন বলছেন উনি আইনটা জানতেন না। এর থেকে হাসির আর কী হতে পারে।”
প্রণব করের দাবি, সকলের সামনে মাছ বিক্রি করে ৫০ শতাংশ টাকা মালিককে দিতে হয়, ৫০ শতাংশ সরকারের কাছে যায়। সেটা মানা হয়নি। মালিককে খবরই দেননি, অথচ মাছ বিক্রি করে দিলেন। উনি বলছেন, ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা করে দিয়েছেন। প্রণব কর বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকায় মাছ বিক্রি হয়েছে। আমরা বলে এসেছি এ টাকা আপনাকে দিতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী, মৎসমন্ত্রীকে জানাব।” তাঁরা ব্যবস্থা না নিলে আইনের পথে হাঁটারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
তবে জেলার সহকারি মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) পিয়াল সর্দার বলেন, “ওনাদের অভিযোগ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মাছটা পুলিশই ধরেছিল। তারপর আমাদের খবর দেয়। সিজ থেকে অকশন অবধি দায়িত্ব মৎস দফতরের। আমি সেটাই করেছি এবং নিয়ম মেনেই করেছি। থানায় অকশন হয়। যে টাকাটা হয়েছিল ব্যাঙ্কে সরকারি নিয়ম মেনে রেখে দিই। সাড়ে ৩ হাজার কেজি মাছ ছিল। ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মাছ। তবে আমার একটা ভুল হয়ে গিয়েছিল, আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের একটা গ্রুপে টাইপিং মিস্টেকে সাড়ে ৩০০ কেজি লিখে ফেলেছিলাম সাড়ে ৩ হাজার কেজির জায়গায়। এটা আমার ভুল মানছি। তবে লুকানোর কোনও উদ্দেশ্যই আমার ছিল না।”