Road blockade : প্রতিশ্রুতির বহর, কিন্তু কংক্রিটের সাঁকো এখনও হয়নি; প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ
Protest at Maheshtala village : বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, চড়িয়াল খালের উপরে খানবেরিয়া থেকে তেঁতুলবেড়িয়া পারাপারের জন্য যে কাঠের পোলটি রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তার ভগ্নদশা।
মহেশতলা : ভগ্নপ্রায় কাঠের পোল। দীর্ঘদিন ধরে এই একই দশা। বার বার প্রশাসনকে বলার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরই প্রতিবাদে এবার রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খানবেরিয়ায়।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, চড়িয়াল খালের উপরে খানবেরিয়া থেকে তেঁতুলবেড়িয়া পারাপারের জন্য যে কাঠের পোলটি রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তার ভগ্নদশা। দুই পারের সংযোগকারী এই কাঠের পোলের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষ পারাপারের জন্য এই একটিই মাত্র কাঠের পোল। প্রত্যেক বারই পঞ্চায়েত ভোটের আগে আশ্বাস দেওয়া হয়, কংক্রিটের সেতু তৈরি করে দেওয়া হবে। মুখে বললেও বাস্তবে তার কোনও প্রকার প্রতিফলন এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এদিকে বার বার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছিল। তার উপর দেখা যায়, গতকাল এই ভগ্নপ্রায় কাঠের পোল সারানোর জন্য নতুন করে ফের কাঠের খুঁটিই আনা হয়েছে। অর্থাৎ, যে প্রতিশ্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার শুনে আসছিলেন, কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হবে, তাতে এবারও জল পড়তে চলেছে। তারই প্রতিবাদে স্থানীয়রা আজ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা রাস্তার উপর টায়ার ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। রাস্তার উপর ফেলা হয় গাছের গুঁড়িও।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে এসে কোনও সদুত্তর দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে। দুপুর তিনটে থেকে শুরু হয়েছিল পথ অবরোধ কর্মসূচি। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না বেরিয়ে যায়, তার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন কালীতলা আশুতি থানার পুলিশকর্মীরা।
মুন্না লস্কর নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন “আমাদের কাঠের পোল ভেঙে যাওয়ার কারণে এখানে কংক্রিটের পোলের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। আমাদের কাঠের পোল নয়, বরং একটি কংক্রিটের পোল প্রয়োজন। কংক্রিটের পোল না দেওয়া হলে, আমাদের এই প্রতিবাদ চলতে থাকবে। বিগত দশ বছর ধরে আমাদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়া হয়েছে যে কংক্রিটের সাঁকো হবে। প্রথমে একটি লোহার পোল ছিল। সেটি ভেঙে যাওয়ার পর বাশের পোল তৈরি হয়। বিডিও অফিস থেকে অফিসাররা এসে আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে কংক্রিটের পোলের কাজ শুরু হবে। তারপর আবার ভেঙে যাওয়ার পর কাঠের পোল তৈরি করা হল। কিন্তু কংক্রিটের পোল এখনও হয়নি। ভোটের আগে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, মাটি পরীক্ষা চলছে, কংক্রিটের পোল হবে। এদিকে ভোটের পর কাঠের পোল ভেঙে যাওয়ার পর আমরা নিজেদের খরচে তা সংস্কার করাই। তারপর সেটি ভেঙে যাওয়ার পর এখন আবার নতুন কাঠের পোল তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমরা কাঠের পোল চাই না। আমরা চাই কংক্রিটের পোল।”