Sandeshkhali: মুখ্য়মন্ত্রীর সভার আগেই তপ্ত সন্দেশখালি
Sandeshkhali: বছরের গোড়ায় সন্দেশখালির আন্দোলনের পর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দখল হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পেয়েছিলেন গোবিন্দ সর্দার, সুভাষ সর্দার, সাগর সর্দারদের মতো স্থানীয় কৃষকরা। একসময় শাহজাহান, সিরাজউদ্দিনের বাহিনীর মদতে অজিত মাইতিরা এই জমি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ।
সন্দেশখালি: আজ, সোমবার সন্দেশখালির মাটিতে পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অরবিন্দ মিশনের মাঠে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে ফের জমি বিবাদে তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। রবিবার বেড়মজুরে আদিবাসী বর্গাদারদের ভেড়ি দখলের অভিযোগ ওঠে। বর্গাদারদের কাঠগড়ায় এলাকারই তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।
বছরের গোড়ায় সন্দেশখালির আন্দোলনের পর মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দখল হয়ে যাওয়া জমি ফিরে পেয়েছিলেন গোবিন্দ সর্দার, সুভাষ সর্দার, সাগর সর্দারদের মতো স্থানীয় কৃষকরা। একসময় শাহজাহান, সিরাজউদ্দিনের বাহিনীর মদতে অজিত মাইতিরা এই জমি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। আদিবাসী বর্গাদাররা তফসিলি কমিশনের দ্বারস্থ হন।
২০২৩ সালে ভুয়ো নথি দাখিল করে গোবিন্দ সর্দারদের জমি দখলের অভিযোগে মান্যতা দেয় কমিশন। তফসিলি কমিশনে অভিযোগ দায়ের হলেও জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ শাহজাহান বাহিনীর দাপটে কার্যকর হয়নি বলে দাবি আদিবাসী বর্গাদারদের। সন্দেশখালির জমি আন্দোলনের জেরে প্রশাসন আদিবাসী বর্গাদারদের জমি ফিরিয়ে দেয়। রবিবার সেই জমিতে তৈরি ভেড়ি থেকে মাছ লুঠের অভিযোগ অজিত মাইতি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। জমির মালিকানা সংক্রান্ত নথি তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন অজিত। মুখ্যমন্ত্রীর সভার একদিন আগে বেড়মজুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা। সঙ্গে সন্দেশখালি জুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনাও।