Arabul Islam-Shaukat Molla: আরাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে নওশাদকে গ্রেফতারের দাবি শওকতের
Arabul Islam-Shaukat Molla: বোমাবাজি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি এমনকি খুনের অপরাধে বৃহস্পতিবার আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।
ভাঙড়: গ্রেফাতর হয়েছেন ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর চলছেই। নেপথ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ খুঁজতে ব্যস্ত রাজনীতির কারবারিরা। ভাঙড়ের হাতিশালায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরাবুল ইসলামের গ্রেফতার নিয়ে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন ভাঙড় বিধানসভার কনভেনর তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। আরাবুল ইসলামের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজয়গঞ্জ বাজারে রাজনৈতিক সভা বাতিল করে ৩ মার্চ করার কথাও জানান।
প্রসঙ্গত, তেইশের পঞ্চায়েত ভোট পর্বে ১৫ জুন মনোনয়নের দিন আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত দু’জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী একজন আইএসএফ কর্মী। সংঘর্ষের ঘটনায় লোকজন জড়ো করা, বোমাবাজি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি এমনকি খুনের অপরাধে বৃহস্পতিবার আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।
বর্তমানে লালাবাজার সেন্ট্রাল লকআপেই রয়েছেন আরাবুল। এরইমধ্যে এইদিন সন্ধ্যায় ভাঙড়ের হাতিশালায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা আছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য ওইদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আরাবুল ইসলাম সেদিন বিডিও অফিসে ছিলেন বলেও জানান শওকত। পাল্টা নওশাদের গ্রেফতারের দাবি তুলে বলেন, “ওই দিন আমাদের রাজু নস্কর ও রসিদ মোল্লা খুন হয়েছিল। আইএসএফেরও একজন খুন হয়েছিল। ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আরাবুল বিডিও অফিসে ছিলেন। পুলিশে ঘেরাটোপে তাঁকে বের হতে হয়েছিল। কারণ আইএসএফের সমাজবিরোধীরা বিডিও অফিসে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছিল। সেই কেসে আরাবুল ইসালমা গ্রেফতার হলে নওশাদ সিদ্দিকী গ্রেফতার হল না কেন?”