Violence: তৃণমূল কর্মীর পা ফুঁড়ে বেরিয়ে গেল গুলি, রাজ্যপাল ফিরতেই ফের উত্তপ্ত বাসন্তী
Bengal Panchayat Election: দুলাল মণ্ডলের দাবি, সোমবার রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসেন হিরন্ময়পুরের তৃণমূল কর্মী ফড়িং। তাঁর হাতে ভোটার স্লিপ ছিল। হঠাৎই ৪-৫টি বাইক তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে হিংসার ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এবার বাসন্তীতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আহত হয়েছেন তাঁরই দলের এক কর্মী। সোমবারই এই বাসন্তীতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। গাগরামারিতে যেখানে তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা খুন হন, সেই গ্রামে যান তিনি। রাজ্যপাল ফিরতেই ফের উত্তপ্ত বাসন্তী। এবার নফরগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার চৌরঙ্গি মোড়। অভিযোগ, গভীর রাতে সেখানে বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা দুলাল মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তিনি কপালের জোরে বাঁচলেও, সেই গুলিতে জখম হন খগেন খুটিয়া ওরফে ফড়িং নামে এক তৃণমূল সমর্থক। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল উঠেছে। যদিও বিজেপি তা অস্বীকার করেছে।
দুলাল মণ্ডলের দাবি, সোমবার রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১টা। বাড়ির কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসেন হিরন্ময়পুরের তৃণমূল কর্মী ফড়িং। তাঁর হাতে ভোটার স্লিপ ছিল। হঠাৎই ৪-৫টি বাইক তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ায়। প্রায় ১০-১২ জন যুবক তাতে ছিলেন। বাইকের আলো বন্ধ করে এলাকায় ঢোকেন তাঁরা।
অভিযোগ, এরপরই চলে গুলি। দুলাল পালাতে গিয়ে পড়ে যান। এরপরই আরও এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দুলালের গায়ে না লাগলেও ফড়িংয়ের পায়ে লাগে গুলিটি। ততক্ষণে গুলির আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এলাকার লোকজন। বাইক ফেলেই পালিয়ে যান ওই যুবকরা। জেলা বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়।