TMC Clash in Canning: থমথমে ক্যানিং! সকালে ইটবৃষ্টি, বিকেলেই নিহত নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক

TMC Clash: কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জনের যদিও দাবি, জেলায় শাসকদলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে কেন এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল বিধায়ক। 

TMC Clash in Canning: থমথমে ক্যানিং! সকালে ইটবৃষ্টি, বিকেলেই নিহত নেতার বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক
ক্যানিংয়ে নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিধায়ক, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 6:50 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল নেতা খুনের (TMC Leader Murder) ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে  উত্তপ্ত ক্যানিং। সকালে দেদার ইটবৃষ্টি চলার পরে বিকেলেই ‘খুন হওয়া’ তৃণমূল নেতার বাড়িতে গেলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল জেলা সভাপতি ও  বিধায়করা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে, ‘খুন হওয়া’ তৃণমূল নেতা মহরম শেখের বাড়িতে যান সুন্দরবন সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। সঙ্গে ছিলেন ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও পরেশরাম দাস। এছাড়া ছিলেন মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে এদিন কথাও বলেন তাঁরা। কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জনের যদিও দাবি, জেলায় শাসকদলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে কেন এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল বিধায়ক।

এদিকে, এদিন সকালেই ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা, হাতাহাতি হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে দেদার ইট ছোড়ে। ইটবৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে। আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, মূল সংগঠন ও যুব সংগঠনের মধ্যের বিবাদ চাপা ছিলই। বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ্যে চলে আসে। তারপরেই কার্যত থমথমে হয়ে যায় গোটা এলাকা।

সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে  বচসা। তারপর কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি। এলাকায় কার দখল থাকবে, তা নিয়ে দুপক্ষের বিবাদ ছিলই। তা এদিন চরম আকার ধারণ করে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি বাজার। শুরু হয় প্রবল ইট বৃষ্টি।

রাস্তায় একে অপরকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে দুপক্ষ। একাধিক দোকানের কাচ ভেঙে যায়। আহত হন বেশ কয়েকজন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাজার এলাকায়।  উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার পুলিশ। আক্রান্ত এক যুবক বলেন, “আমরা মাদার তৃণমূল করি। ছাগল নিয়ে মাঠে গিয়েছিলাম। তখনই চিত্‍কার চেঁচামেচি শুনতে পাই। চলে আসছিলাম মাঠ থেকে। অনেকেই বলল ওই রাস্তা দিয়ে যেতে না, ঝামেলা হচ্ছে। তবে আমরা ওই রাস্তা দিয়েই গিয়েছিলাম। ওখানে যারা যুব তৃণমূল করেন, তাদের অনেকে দাঁড়িয়ে ছিল। তারাই আমাদের দেখে গালি-হুমকি দিতে থাকল। বলল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে লুঠ করা হবে তোদের বাড়ি।”

আক্রান্ত আরও এক মহিলা বলেন, “আমার প্রথম থেকেই তৃণমূল করে আসছি। দলেরই লোকের বিরুদ্ধে কী আর বলব। আমরা তো সব এক দলই করি। আর একই গ্রামের বাসিন্দা।”

তবে ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের উপপ্রধান খতিব সর্দার বলছেন, “যুব-মাদার বলে কোনও ব্যাপার নেই। এই সংঘর্ষের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। গ্রাম্য বিবাদ। ইট ছুড়েছে মদ্যপ অবস্থাতেই। এর সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে লাভ নেই।”

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল ক্যানিং। রীতিমত বিক্ষোভে নেমেছিল  এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে খবর। সেই ঘটনার পর থেকে জোর কদমে চলছিল পুলিশের তল্লাশি অভিযান। অবশেষে খুনের ঘটনায় দলেরই পঞ্চায়েত উপ প্রধান সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ‘শুভেন্দুর চক্রান্তে সিবিআই তলব’! হাজিরা এড়ালেন ৩ তৃণমূল নেতা