TMC MLA: সিপিএম নেতার স্মরণসভায় হাজির তৃণমূলের বিধায়ক

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির বাসিন্দা সিপিএম নেতা সুদর্শন বারিক ওরফে সন্দীপ বারিকের স্মরণসভা ছিল শনিবার। সেখানেই সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সিপিএম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চলে আসেন বিধায়ক।

TMC MLA: সিপিএম নেতার স্মরণসভায় হাজির তৃণমূলের বিধায়ক
সিপিএম নেতার স্মরণসভায় তৃণমূল বিধায়কImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2024 | 10:57 PM

উস্তি: সিপিএম নেতার স্মরণসভায় হাজির তৃণমূল বিধায়ক। সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে প্রয়াত সিপিএম নেতার ছবিতে মাল্যদান করলেন বিধায়ক। শনিবার এই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার উস্তির বাসিন্দা সিপিএম নেতা সুদর্শন বারিক ওরফে সন্দীপ বারিকের স্মরণসভা ছিল শনিবার। সেখানেই সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সিপিএম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চলে আসেন বিধায়ক। সিপিএম নেতা, কর্মীদের সঙ্গে প্রয়াত সিপিএম নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন তিনিও। পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু-সহ বাম নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। যদিও তৃণমূল বিধায়ক চলে যাওয়ার পর অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, “আমি যখন ছোটবেলায় রাজনীতিতে এসেছিলেন সুদর্শন বারিক আমাকে অনেক ভালবেসেছেন। আদালা দল করতে পারি। কমিউনিস্ট পার্টি মানেই খারাপ নয়। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি এসেছিলাম।” যদিও বিধায়কের এই কাজে মোটেই খুশি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মগরাহাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি ইমরান হাসান বলেছেন, “কেন বিধায়ক সিপিএমের মঞ্চে গেলেন, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে উনি না গেলেই ভাল করতেন। এতে নীচুতলার তৃণমূলকর্মীদের মনে আঘাত লাগতে পারে।”

সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “আমাদের নেতার স্মৃতিতে স্মরণসভা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সবাই এসেছে। আমাদের পরিবেশ এটাই ছিল। তৃণমূল-বিজেপি এসে তা নষ্ট করেছে। যাঁরা এসেছেন আমরা তাঁদের সকলকেই সাধুবাদ জানাচ্ছি।” এ নিয়ে অবশ্য খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা মহাব্রত দাস বলেছেন, “এটা তো নতুন কিছু নয়। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছেন মমতা, অভিষেক, সীতারাম একসঙ্গে ফিসফ্রাই খাচ্ছে। এটা তারই প্রতিফলন।”