Terrorist: পুলিশ বাড়ি ঘিরলে পালানোর চেষ্টা, জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যে ধৃত যুবক

Diamond Harbour: শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসটিএফের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে দেউলপোতা গ্রামে সমীরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ডায়মন্ড হারবার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Terrorist: পুলিশ বাড়ি ঘিরলে পালানোর চেষ্টা, জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যে ধৃত যুবক
সমীর হোসেন শেখ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 6:14 PM

ডায়মন্ড হারবার: জঙ্গিমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফের দু’জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ধৃত দুই জনের নাম সমীর হোসেন শেখ ও সাদ্দাম হোসেন খান। মুম্বই থেকে সাদ্দামকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সি সমীর হোসেন শেখের খোঁজ পায় পুলিশ। সমীরের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার থানার বাগদা চাঁদনগর দেউলপোতা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, আট ভাই বোনের মধ্যে সমীর সেজো। বর্ধমান জেলার মেমারির একটি মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন সমীর। অভাবের সংসারের হাল ধরতে কলকাতায় একটা জুতো তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। সেই কাজ ছেড়ে পাঁশকুড়াতে মাওলানা হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করেন। গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে ডায়মন্ড হারবারের অব্দালপুরে কাজ করতেন। বছরখানেক আগে বিয়ে করেন সমীর। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে সন্তানসম্ভবা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসটিএফের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে দেউলপোতা গ্রামে সমীরের বাড়ি ঘিরে ফেলে ডায়মন্ড হারবার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে এবং ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি অনুদ্রুতি মজুমদার। তল্লাশি অভিযানের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সমীর। পরে পুলিশের একটি দল গ্রামের ভেতরে অন্ধকারের মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকা সমীরকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর,  সমীরের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান,  নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’ -এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যোগ ছিল সমীরের। পরে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক জনের সন্ধান পায় তদন্তকারী অফিসাররা। আজ সকাল থেকে গোটা দেউলপোতা গ্রাম ছিল থমথমে। সমীরের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।

সমীরের ব্যাপারে তাঁর ভাই বলেছেন, “পুলিশ দাদাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন তুলে নিয়ে গিয়েছে সে ব্যাপারে কিছুই জানায়নি পুলিশ। দাদা কাল মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরেছিল। মসজিদের ইমাম ছিলেন আমার দাদা। এক জন ইমাম কখনও জঙ্গি হতে পারে না। আমি চাই এর উপযুক্ত তদন্ত হোক।“