Poster Politics: সাংসদ জাটুয়ার নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার, পাল্টা বিজেপি কার্যালয়েও পড়ল পোস্টার
South 24 Parganas: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টা আগেই মথুরাপুরের সাংসদ (Mathurapur MP) চৌধুরী মোহন জাটুয়ার (Chowdhury Mohon Jatua) নামে পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। এবার পাল্টা পোস্টার পড়ল বিজেপির নামে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের রুদ্রনগর-সহ একাধিক এলাকায় চৌধুরী মোহন জাটুয়ার নিখোঁজ সংক্রান্ত পোস্টার পড়ে। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে পাল্টা পোস্টার লাগানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় খুদিগুড়িয়াতে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়কে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ও কাদা ছোঁড়ার অভিযোগও ওঠে। পার্টি অফিসের ছাউনি কয়েক জায়গায় ভেঙে যায় বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। শুধু তাই নয়, এক বিজেপি কর্মীকে মারধরও করার অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূলের দাবি, সাগর মেলার আগে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ইচ্ছাকৃত ঝামেলার চেষ্টা করছে। শুক্রবারের রাতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাগর থানার পুলিশ।
সাগর ব্লকের বিজেপি আহ্বায়ক খগেন মণ্ডল বলেন, “চৌধুরী মোহন জাটুয়া নিখোঁজ বলে পোস্টার পড়েছিল। সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্রের নেতৃত্বে তৃণমূলের কিছু লোক এসে আমাদের ব্লক অফিসে আক্রমণ করেছে, ভাঙচুর করেছে। জোর করে কিছু পোস্টারও লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের এক কর্মী প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধরও করে।” প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বাপি মাইতির কথায়, রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তিনি দোকান বন্ধ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে ফিরছিলেন। দেখেন, বেশ কয়েকজন তাঁদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ভিড়ের কারণ জানতে চাইলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি কর্মীর কথায়, তাঁকে বেধড়ক কিল, চড়, ঘুষি মারা হয়। তিনি জ্ঞান হারান বলেও দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা সন্দীপ পাত্র বলেন, “বিজেপি জাটুয়া নিখোঁজ বলে পোস্টার সাঁটিয়েছিল। কলেজ গেটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যে পোস্টার আছে ওর উপরও পোস্টার দিয়ে দেয়। এরপরই কলেজের ছেলেরা এসে তাঁদের পার্টি অফিসে পোস্টার দিয়ে বলেছে যে জাটুয়ার খোঁজে পোস্টার দিয়েছে তার সন্ধান চাই। সেখানে বিজেপির এক কর্মী ছিলেন, তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। আমি খবর পেয়ে যাই। গিয়ে দু’পক্ষকে বুঝিয়ে বিরত করি। আমি স্পষ্ট বলি, সাগর মেলার আগে আমরা কোনও অশান্তি চাই না।”