South 24 Parganas: ‘ফোন করলাম বলছে তাস খেলছে’, এরপরই বাড়িতে এল সেই খবর… স্বামীকে হারিয়ে কান্নায় দিশাহারা স্ত্রী

South 24 Parganas News: অভিযুক্তরা এলাকারই বাসিন্দা বলে দাবি নিহতের পরিবারের। এর আগে তাঁদের সঙ্গে ঝামেলাও হয় বলে দাবি নিহতের স্ত্রীর।

South 24 Parganas: 'ফোন করলাম বলছে তাস খেলছে', এরপরই বাড়িতে এল সেই খবর... স্বামীকে হারিয়ে কান্নায় দিশাহারা স্ত্রী
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সহদেবের স্ত্রী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 6:07 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলিতে এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, সহদেব হালদার নামে ওই যুবককে স্থানীয় কোপানোর পর এলাকার পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কচুরিপানায় ভরা পুকুর থেকে ওই যুবক যাতে উঠতে না পারেন, তার জন্য নাগাড়ে ইটবৃষ্টি করতে থাকেন অভিযুক্তরা। এরপর সহদেবের আর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।

কুলতলি থানার অন্তর্গত জালাবেড়িয়া -১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রাম। সোমবার রাতে সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। গ্রামেরই বাসিন্দা সহদেব হালদার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। মোড়ের মাথায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে একদল যুবক ঘিরে ফেলেন। বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা সহদেবকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় তাঁদের দিকেও অস্ত্র নিয়ে ধেয়ে আসে দুষ্কৃতীর দল। খবর যায় কুলতলি থানায়।

কুলতলি থানার আইসি অর্ধেন্দুশেখর দে সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সহদেবকে উদ্ধার করে। জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সহদেবের স্ত্রী লিপিকা হালদার বলেন, “ও যখন বেরোচ্ছে আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় যাচ্ছ? বলে গেল দোকানের দিকে যাচ্ছে। ফোন করেছি, তখনও বলছে তাস খেলছে। এরপরই শুনি এমন ঘটনা। কেন মারল কিছুই জানি না। একটা পুরনো ঝামেলা ছিল। কিন্তু সেসব মিটে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। ওরা পরিকল্পনা করে আমার স্বামীকে মেরে দিল।”

প্রত্যক্ষদর্শী দীপঙ্কর মণ্ডলের কথায়, “আমরা ওখানে বসে গল্প করছিলাম। দেখি সহদেবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে কয়েকজনের। এরপরই ওর মাথায় কোপ মারে। মারতেই পুকুরে গিয়ে পড়ে যায়। সকলে হাতে পায়ে ধরেছিল ছেলেটাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তবু ছাড়েনি। কেউ এগিয়ে এলে তাকেও কোপাবে বলে। ভয়ে কেউ আর পুকুরের ধারে যায়নি। ওরা পুকুরে সহদেবকে ঢিল পর্যন্ত ছুঁড়েছে। যাতে কোনওভাবে ও পুকুর থেকে উঠতে না পারে। এরপর তো যখন পুলিশ এসে উদ্ধার করল ততক্ষণেই বোধহয় সব শেষ।”

পারিবারিক বিবাদ নাকি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই ঘটনা তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকাছাড়া। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।