Bhangar Case: অন্ধকারে সিঁড়ির ঘর দিয়ে ঢুকেছিল পাড়ারই ছেলে, একটা মাত্র ভুল দিল হাটে হাঁড়ি ভেঙে…
Detain One: বানতলা চর্মনগরীতে কাজ করেন মিন্টু নামে এক যুবক। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর দু'টি মোবাইল ফোনই উধাও। বিছানার পাশেই রাখা ছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কথায় আছে, চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ো ধরা। কিন্তু ধরা পড়ে গেলে লুকোনোর জায়গা নেই। আর তা যদি প্রতিবেশির বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়তে হয়, তা হলে তো কথাই নেই। সোমবার ভাঙড় থানা এলাকায় এরকমই এক ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এলাকার একটি বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, ২৫০ টাকা হঠাৎই উধাও হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন বুঝতেই পেরেছিলেন, কেউ ঢুকেছিল বাড়িতে। কিন্তু কে সে, উত্তর খুঁজতে যখন নাজেহাল, তখনই হাতে আসে একটি মানিব্যাগ। সেই মানিব্যাগ খুলতেই হতবাক বাড়ির লোকজন। দেখেন এ তো পাড়ার চেনা ছেলেটার টাকার ব্যাগ! এই ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই পড়ে যায় ভাঙড়ের খড়ম্বা গ্রামে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।
বানতলা চর্মনগরীতে কাজ করেন মিন্টু নামে এক যুবক। সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর দু’টি মোবাইল ফোনই উধাও। বিছানার পাশেই রাখা ছিল। অন্যদিকে টেবিলের উপর রেখেছিলেন কড়কড়ে ২৫০ টাকা। সেটাও নেই। তখনই বুঝেছিলেন ঘরে চোর ঢুকেছে। এরপরই এদিক ওদিক চোখ ঘোরাতে ঘোরাতে নজরে আসে, ঘরের মেঝেয় একটি মানিব্যাগ পড়ে রয়েছে। সেই মানিব্যাগ খুলতেই অবাক হয়ে যান তিনি।
সেই মানিব্যাগের ভিতর আধার কার্ডের নকল, ডেবিট কার্ড রয়েছে। আধার কার্ডটি যাঁর, তিনি মিন্টুদের পাড়ারই বাসিন্দা। মিন্টুর অভিযোগ, ওই যুবকই ঘরে ঢুকেছিলেন। দু’টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে পালানোর সময় কোনওভাবে মানিব্যাগটি পড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অভিযোগকারী। এরপরই ভাঙড় থানায় ছোটেন তিনি।
মিন্টুর অভিযোগ, পড়শি যুবক সিঁড়ির ঘর দিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন। এরপরই নীচে নেমে মোবাইল, টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। অন্ধকারে কোনওভাবে মানিব্যাগটি পড়ে যায়। বুঝতে পারেননি বলেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। ইতিমধ্যেই ভাঙড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করছে।