Canning: তাপসের তৎপরতায় ট্রেনে কাটা পড়া থেকে বাঁচল এজিনা ও তাঁর কোলের সন্তান

Suicide: শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং স্টেশনের ঘটনা। সেখানেই রেললাইনে আত্মহত্যা করার আগেই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন জিআরপি।

Canning: তাপসের তৎপরতায় ট্রেনে কাটা পড়া থেকে বাঁচল এজিনা ও তাঁর কোলের সন্তান
গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 2:50 PM

ক্যানিং: আর একটু ঊনিশ-বিশ হলেই হয়ত চলে যেতে পারত তরতাজা দু’টি প্রাণ। কিন্তু তেমনটা হয়নি। আত্মহত্যা করার আগেই রেল লাইন থেকে উদ্ধার মা ও শিশু। পরে ক্যানিং জিআরপি-র তৎপরতায় বাঁচল ২টি প্রাণ

শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং স্টেশনের ঘটনা। সেখানেই রেললাইনে আত্মহত্যা করার আগেই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন জিআরপি। উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার নাম এজিনা গায়েন। শনিবার বিকালের পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয় রেললাইনে ঝাঁপ দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে।

গত কয়েক বছর আগে উড়িষ্যার রাজ্জাক সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় এজিনা গায়েনের। স্বামী পেশায় রান্নার কাজ করেন। কলকাতার আলিপুরের দীর্ঘদিন ধরে রান্নার কাজ করার সূত্রে কলকাতাতেই থাকেন স্বামী। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়াতে থাকতেন এজিনা। আর তা নিয়েই সংসারে লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। শুধু তাই নয়, মোবাইলে গেম খেলতেও ব্যস্ত থাকতেন এজিনা। যা অপছন্দ ছিল স্ত্রী-র। একে দূরত্ব তারপর দোসর ফোন কথা বলার ফুরসতটুকু ছিল না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ফলত, শনিবারেই অশান্তি চরমে ওঠে। তারপর রেললাইনে এসে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। ক্যানিং স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন ক্যানিং স্টেশনের জিআরপির ইনচার্জ তাপস কান্তি দে।

আজিনা বিবি বলেন, ‘মোবাইলের গেম খেলেন স্বামী। তা নিয়ে প্রায় গণ্ডগোল লেগেই থাকত। সন্তানের দিকে কোনওপ্রকার নজর দিত না। আর তা নিয়েই চলতো অশান্তি।’ এ বিষয়ে এজিনার মা ছকিনা বিবি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। এদিন ভিডিও কল করা নিয়ে অশান্তি হয়। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। এক কাপড়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসায় আমরাও মেয়েক খোঁজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু কোথাও খোঁজ না পেয়ে পরে শুনলাম স্টেশনে এসেছিল আত্মহত্যা করার জন্য। তাকে উদ্ধার করেছে ক্যানিং ষ্টেশনের জিআরপি পুলিশ।ওনাকে ধন্যবাদ।’

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আপাতত সুস্থ আছে ওই মহিলা ও তাঁর কোলের শিশু সন্তান। তাঁকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।