দুুপুরেই ফুটফুটে ছেলের জন্ম দেন মা, সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই সর্বনাশ!

চিকিৎসক (Doctor) এসে একবার দেখে গেলে এমন ক্ষতি হত না, কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন মৃতের পরিজনরা।

দুুপুরেই ফুটফুটে ছেলের জন্ম দেন মা, সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই সর্বনাশ!
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 25, 2021 | 10:34 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক প্রসূতির (Woman Died) মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৃতের আত্মীয়রা। ঘটনার খবর ছড়াতেই নার্সিংহোমের সামনে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারাও। অভিযোগ, আচমকাই কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে নার্সিংহোমের ভিতর ঢুকে ভাঙচুর করেন। রবিবার রাতে মগরাহাট থানার ঝিনকির হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এক চিকিৎসকের গাড়িতেও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিস। মৃতের পরিবার ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে স্থানীয় ডিহি নারায়ণী এলাকার বাসিন্দা ময়না নস্করকে (২৮) ভর্তি করা হয়েছিল ঝিনকির হাট এলাকার একটি নার্সিংহোমে। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর প্রসব হয়। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ময়না। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রসবের পর থেকে আর কোনও চিকিৎসা হয়নি বধূর।

অভিযোগ, এদিন বিকেল থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়লেও নার্সিংহোমে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তাই কেউ নতুন মাকে দেখতেও আসেননি। ধীরে ধীরে শরীর ছাড়তে শুরু করে ময়নার। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ একেবারে নিথর হয়ে পড়েন। তখন এক চিকিৎসক দেখে বলেন, ময়না আর বেঁচে নেই। এ কথা শুনে রাগে চেঁচামেচি শুরু করেন বাড়ির লোকজন। বাইরেও চিৎকার চলে।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে হিমশিম বাংলা, করোনা রোগীর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে বাড়ির লোকও

অভিযোগ, এই শোরগোল শুনে এলাকার কয়েকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই নার্সিংহোম চত্বরে ভাঙচুর করেন। এমনকী এক চিকিৎসকের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে। মৃতের পরিবার ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।