Sundarban Death: সঙ্গ দিল না কপাল, বাড়ির কাছেই গাড়ির চাকায় পিষে গেল একমাত্র রোজগেরে ছেলে
Sundarban: বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপদর মোড় এলাকায়। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পরিবারে অনটন। তাই দর্জির কাজ হাতে তুলে নিয়েছিল। কিন্তু সাধ দিল না কপাল। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ কেড়ে নিল বছর কুড়ির ছেলেটির। গোট ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। মৃতের নাম আসাদুল ঘরামী(২০)। বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপদর মোড় এলাকায়। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের আসাদুল ছোট থেকেই খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। পড়াশোনার প্রতি বরাবরই আলাদা ঝোঁক ছিল তাঁর। পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে বেশ কয়েক বছর আগে পড়াশোনা ছেড়ে দর্জির কাজ শুরু করেছিল এলাকায়। তবে কপাল সাধ দেয়নি। এল করোনা আর লকডাউন। তাই দর্জির কাজটুকুও হাতছাড়া হয়।
দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র পরিবার। দুবেলা খাওয়ারই জোটে না তো পড়াশোনা সেখানে বিলাসিতা। এরপর আবার কাজ হারায় আসাদুল। ফলত অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি। এরপর সংসারের হাল ধরতে আসাদুল গত ৯ মাস আগে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কাজে গিয়েছিল। সেখানে দর্জির কাজ শুরু করে সে। এরপর বুধবার নাগপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথাছিল তার। এদিন দুপুরের পর ক্যানিং থেকে চুনাখালিগামী অটোয় ওঠে সে। পরে বাসন্তীর কালিপদর মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা দুরন্ত গতির একটি বোলেরো গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে অটোটিকে। ছিটকে পড়ে যায় ওই যুবক। মুহুর্তের মধ্যে তাঁকে পিষে দিয়ে পালিয়ে বোলেরো গাড়িটি। পালিয়ে যায় অটোটিও।
স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। অপর দিকে ঘাতক গাড়ি সহ চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। প্রাক্তন ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মর্মাহত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত শিক্ষক নিমাই মালি। নিমাই বাবু জানিয়েছেন, আসাদুল ঘরামী মেধাবী ছাত্র ছিলে। লকডাউন আর পরিবারে আর্থিক অনটনের জন্য সংসারে হাল ধরার উদ্যোগ নিয়ে নাগপুরে কাজে গিয়েছিল। ঘরে ফিরতে চেয়ে ও ঘরে ফেরা হলো না।
আরও পড়ুন: Raiganj Child Theft: নিজের সন্তানই চুরি করল বাবা, কারণ শুনে আঁতকে উঠল পুলিশ