‘তৃণমূলের ভ্যাকসিন বিজেপিই, বদল হবে বদলাও হবে’
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, "তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ, সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই আবার ভুবনেশ্বর ঘুরে এসেছেন। এক মন্ত্রী তো এক বছর জেলের ভাতও খেয়ে এলেন। এখনও অনেকের নাম সিবিআইয়ের লিস্টে রয়েছে। সিবিআই এদেরকে এক এক করে ডাকছে, আর এঁটো করে ছেড়ে দিচ্ছে।"
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূলের (Trinamool Congress) একমাত্র ভ্যাকসিন বিজেপি (BJP)। রাজ্যে বিজেপির হাত ধরেই বদল আসবে, বদলাও হবে। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের কুলপিতে এভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হাঁকালেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ক্ষমতায় আসলে ‘লুঠের টাকা হজম’ করতে দেবে না বিজেপি। ‘ছোট নেতাদের জন্য আলিপুর জেলে ব্যবস্থা করা হবে’, ‘বড় নেতাদের’ স্থান হবে ভুবনেশ্বর জেলে।
আরও পড়ুন: আসুন আমাদের সঙ্গে ধরনায় যোগ দিন, সিংঘু থেকে মমতাকে আহ্বান অন্নদাতাদের
ভোট যত এগোচ্ছে, বিজেপি-তৃণমূল তরজাও তত সুর চড়াচ্ছে। এরইমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে একাধিক নেতার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানো আলাদা আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে দিলীপ ঘোষ, মকুল রায়দের। এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ব্যঙ্গের সুরে বলেন, “সকালে এক ভাই বলছে আমি যাব, তাকে বুঝিয়ে রাজি করলেও বিকেলে আবার আরেক ভাই বলছে আমি যাব। তৃণমূলে এখন বাড়ি ছাড়ার কম্পিটিশন লেগেছে।” এভাবেই তৃণমূল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বলে কৃষি বিলের সমর্থনে জনসভায় গিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করে এলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: বাংলায় ‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ’ ভোট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা
কুলপির করঞ্জলীর দামোদরপুরের আইটিআই কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, “তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে সাংসদ, সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই আবার ভুবনেশ্বর ঘুরে এসেছেন। এক মন্ত্রী তো এক বছর জেলের ভাতও খেয়ে এলেন। এখনও অনেকের নাম সিবিআইয়ের লিস্টে রয়েছে। সিবিআই এদেরকে এক এক করে ডাকছে, আর এঁটো করে ছেড়ে দিচ্ছে।” এসবই নাকি তৃণমূল নেতাদের ‘রক্তচাপ’, ‘সুগার’ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ঘন ঘন হাসপাতালে ছুটছে হচ্ছে তাঁদের।
দিলীপ ঘোষের হুমকি, “সরকারে এলে তদন্ত হবে, সব জেলে যাবে। ছোট নেতারা আলিপুর জেলে যাবে, বড় নেতারা ভুবনেশ্বর জেলে যাবে। ” নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ বিজেপি সাংসদের, “দিদিমণির চেহারা দেখে খুব কষ্ট লাগছে। ভয়ে কেন্দ্রের বরাদ্দ করা টাকা বাংলার কৃষকদের দিচ্ছেন না উনি। পাছে কাটমানি না পেয়ে দিদির ভাইয়েরা আঙুল চুষতে শুরু করে। দিদি এখন পিসি হয়ে গিয়েছেন।”