তৃণমূলের সভায় ভিড় কি আদৌ কাঁথির ভূমিপুত্রদের? অখিল গিরি নিজেই উস্কে দিলেন জল্পনা

সভায় ভিড়ও হয়েছিল দেখার মতো। তিলধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু, এত জনসমাগম কি আদৌ 'কাঁথির ভূমিপুত্রদের'? সভা শেষে বিধায়ক অখিল গিরির বক্তব্যই এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।

তৃণমূলের সভায় ভিড় কি আদৌ কাঁথির ভূমিপুত্রদের? অখিল গিরি নিজেই উস্কে দিলেন জল্পনা
তৃণমূলের সভায় ভিড় কি আদৌ কাঁথির ভূমিপুত্রদের? অখিল গিরি নিজেই উস্কে দিলেন জল্পনা
Follow Us:
| Updated on: Dec 23, 2020 | 8:59 PM

কাঁথি: চ্যালেঞ্জ ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মাটি ধরে রাখার। সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দেওয়ার যে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দলবদলে কোনও প্রভাবই পড়বে না তৃণমূলের (TMC) অন্দরে। অধিকারী পরিবারকে সম্পূর্ণ ‘ব্রাত্য’ রেখেই এই সভার আয়োজন করেছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। যিনি আগাগোড়া পরিচিত ‘অধিকারী বিরোধী’ হিসেবেই।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভামঞ্চে আলো ছড়ানোর দায়িত্ব পড়েছিল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কাঁধে। রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সভায় ভিড়ও হয়েছিল দেখার মতো। তিলধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু, এত জনসমাগম কি আদৌ ‘কাঁথির ভূমিপুত্রদের’? সভা শেষে বিধায়ক অখিল গিরির বক্তব্যই এই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।

বুধবার সমাবেশের আগে তৃণমূলের মিছিল শুরু হয় কাঁথি ক্যানাল রোড থেকে। শেষ হয় ডর্মেটরির মাঠে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি। তাঁকে এদিন বলতে শোনা যায়, শুভেন্দুকে মানুষ কখনই ক্ষমা করবে না। তিনি অত্যাচার করেছেন। মানুষকে মানুষ বলে মনে করেননি।

সেই সময়ই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই যে মানুষের ঢল নেমেছে তা কি পুরোপুরি কাঁথির ভূমিপুত্রদের? জবাবে অখিল গিরি জানান, এই ভিড় পুরোপুরি কাঁথির নয়। রামনগর, তেখালি-সহ মোট ৫টি এলাকা থেকে এই ভিড় জড়ো হয়েছে। এদিনের সভাস্থল দক্ষিণ কাঁথির স্থানীয় মানুষ জমায়েতে অংশ নিয়েছেন ঠিকই। তবে ঢল নামতে সাহায্য করেছে মূলত বাইরের ৫ এলাকার মানুষ। এমনকী, হাওড়া-বরাহনগর থেকেও এদিনের সভায় অসংখ্য কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু নিজেই লিফটে উঠেছে, ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা সৌগতর

ফলে ‘অধিকারী গড়ের’ মিথ মুছতে চেয়ে তৃণমূলের এদিনের সভায় জনসমাগম যথেষ্ট পরিমাণে হলেও, সভার উদ্দেশ্য ১০০ শতাংশ সফল হল কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। কেননা, এদিনের সভায় তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য ছিল কাঁথির মানুষদের জড়ো করা এবং তাঁদের আস্থার জায়গা অটুট রাখা। সেটা আদৌ হয়েছে কি? এই নিয়ে বেশ সন্দিহান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। এবং এই সন্দেহ তীব্রতর হয়েছে এদিনের কর্মসূচির পুরভাগে থাকা অখিল গিরির কথাতেই।

বস্তুত গোটা কাঁথিই এদিন ঘাসফুলের পতাকায় ছয়লাপ ছিল। তবে পদ্মের রমরমা কম ছিল এমনটাও নয়। কাঁথি যাওয়ার পথে কন্টাই-নন্দকুমার রোডে এদিন রাস্তার দুধারে যেমন তৃণমূলের পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। তেমনই বিজেপির পতাকাতেও ছয়লাপ ছিল এলাকা। কেননা বৃহস্পতিবারই সেখানে মহামিছিল করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়, ‘অধিকারী গড়ে’ দাঁড়িয়ে সৌগতর হুঙ্কার