আলোচনার পথ খোলা, শর্ত একটাই! শুভেন্দু-জিতেন্দ্র-সুনীল বৈঠক শেষে এল বার্তা
বৈঠক থেকে বেরোনোর সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু। তবে সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, বৈঠকে রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।
পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যে রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়ে এবার পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (Sunil Mondal) বাড়িতে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন সদ্য বিধায়ক-পদ ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৈঠক থেকে বেরোনোর সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু। তবে সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, বৈঠকে রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।
অন্যদিকে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারিও (Jitendra Tiwari)। যিনি বৈঠক শেষে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গেই তিনি রয়েছেন। তবে একটা বিষয় সবার পক্ষ থেকেই স্পষ্ট করা হয়েছে, প্রত্যেকের মূল আপত্তি দলে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) হস্তক্ষেপ নিয়ে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীও। এ বাদে কালনার বিধায়ক ও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ও বিদায়ী কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন আজকের বৈঠকে। সুনীল মণ্ডলের বাড়ির তিন তলায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুভেন্দু মুখ না খুললেও সুনীল মণ্ডল জানান, রাজনীতির কোনও কথাই বৈঠকে হয়নি। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার করেছেন, তাঁদের ক্ষোভ মূলত পিকের বিরুদ্ধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সেই প্রশান্ত কিশোরকেই কাঠগড়ায় তোলেন সুনীল। শুভেন্দু অবশ্য দলবদলের বিষয়ে তাঁদেরকে কিছু বলেননি, এমনটাই দাবি এই তৃণমূল সাংসদের।সুনীলবাবুদের বক্তব্য, দলের সঙ্গে আলোচনার পথ এখনও খোলা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যদি প্রশান্ত কিশোরকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা করতে চায়, তবে তাঁরা রাজি।
আর পড়ুন: ‘মাথা গরম করিস না, আমি আসছি’, জিতেন্দ্রকে মমতা
অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছি। অন্য কারো সঙ্গে কথা বলব না। যা বলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বলব।
মুখে কেউ কিছু স্বীকার না করলেও, শুভেন্দুর সঙ্গে ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল নেতাদের আজকের বৈঠক একাধিক জল্পনার জন্ম দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে এরাও কোন দিকে যাবেন সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেন। আবার আরেকটি সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে। তা হল, প্রত্যেকেই শুভেন্দুর সঙ্গেই অন্য শিবিরে নাম লেখাতে পারেন।
আর পড়ুন: ‘জেলা সভাপতি হিসাবে শেষ মিটিং কিনা জানি না’, দলত্যাগের জল্পনা উস্কে দিলেন জিতেন্দ্র