‘বাংলা কারোর একার সম্পত্তি নয়’, তৃণমূল কর্মীদের বিদায়ী চিঠি শুভেন্দুর
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নাম করেই তাঁদের উদ্দেশে একটি আবেগঘন চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। যেখানে স্পষ্ট তিনি লিখেছেন, পথ হয়তো বদলে যাচ্ছে। কিন্তু স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গ তৈরির লক্ষ্য থেকে পিছু তিনি হটছেন না।
কলকাতা: প্রহর গোণা শেষ বললেই চলে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। অমিত শাহের পাশের চেয়ারেই বসে রয়েছেন তিনি। নিজের জীবনের সোনালী সময় তৃণমূলে কাটিয়ে এখন আলাদা পথ বেছে নিচ্ছেন অধিকারী পরিবারের এই নক্ষত্র। তবে অন্য দলের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার আগে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নাম করেই তাঁদের উদ্দেশে একটি আবেগঘন চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। যেখানে স্পষ্ট তিনি লিখেছেন, পথ হয়তো বদলে যাচ্ছে। কিন্তু স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গ তৈরির লক্ষ্য থেকে পিছু তিনি হটছেন না।
চিঠিতে শুভেন্দু লেখেন, রাজ্য এখন কঠিন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। গত তিন দশকে রাজ্যের মানুষ তাঁকে কাছে টেনেছে ও দল যেভাবে কাজের সুযোগ দিয়েছে, তার জন্য সেই চিঠিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। তবে যে স্বপ্ন তিনি বাংলার জন্য দেখেছিলেন, তা পুরো হয়নি। বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় এলেও সাধারণ মানুষ যেই তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছেন। চিঠিতে এমনটাও লিখেছেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এরপরই কাযর্ত বোমা ফাটিয়ে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বা তৃণমূল কংগ্রেস কারোর একার সম্পত্তি নয়। কিন্তু কেউ কেউ যখন দলকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে তখন সেটা কষ্টদায়ক, লেখেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। যাদের কাঁধের উপর ভর করে এই দল তৈরি হয়েছিল, তাঁদেরকেই এখন পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অসম্মান করা হচ্ছে। তাঁদের জায়গায় এখন ভাড়া করা লোকদের নিয়ে আসা হচ্ছে যারা তৃণমূল স্তরের রাজনীতি বোঝেন না। এই সকল কারণের কথা উল্লেখ করেই তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: শাহর সভায় শুভেন্দু! গণযোগদানের তালিকায় নাম সাংসদ, বিধায়ক সহ কমপক্ষে ৪০ নেতানেত্রীর
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দুর এই চিঠিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, শুভেন্দুবাবুর কথার কোনও মূল্য আমি দিচ্ছি না। শুভেন্দুর খোলা চিঠি মানুষ ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। পরিবারতন্ত্র চালিয়েছেন শুভেন্দু, চিঠিতে তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি… ওঁ কী করেছেন রাজ্যের জন্য।