‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যথেষ্ট নয়, চাই চিঠিও’, হাসপাতালের উদ্ভট দাবিতে বেহাল রোগী

বেসরকারি হাসপাতাল গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে এ প্রসঙ্গে যদিও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

'স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যথেষ্ট নয়, চাই চিঠিও', হাসপাতালের উদ্ভট দাবিতে বেহাল রোগী
স্বাস্থ্য় সাথী কার্ড ফেরাল হাসপাতাল
Follow Us:
| Updated on: Mar 09, 2021 | 7:01 PM

বীরভূম: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ( Swastha Sathi card) থাকলে রোগীকে ফেরাতে পারবে না কোনও হাসপাতাল। দিনকয়েক আগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ কার্যকর বাধ্যতামূলক করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু, তারপরেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ( Swastha Sathi card) থাকা সত্ত্বেও রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠল বীরভূমের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

রামপুরহাটের শংকর কুমার রুজ দীর্ঘদিন ভুগছিলেন চোখের সমস্যায়। চোখের চিকিৎসা করাতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে।

শঙ্কর বাবুর অভিযোগ, গত ১৫ দিন ধরে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। হয়নি চিকিৎসা। উল্টে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে শঙ্করবাবুকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড শুধু থাকলে হবে না, সরকার অনুমোদিত চিঠিও দেখাতে হবে। নয়তো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ( Swastha Sathi card) ব্যবহার করা যাবে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যদিও এ প্রসঙ্গে যদিও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) গত জানুয়ারিতে রানাঘাটের সভা থেকে স্পষ্টই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে চিকিৎসা বাধ্যতামূলক। কোনও হাসপাতাল যদি রোগীকে ফেরায় তবে লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে। তবে সেই নির্দেশ যে একাধিক সময়ে কার্যকর হচ্ছে না, তা হাতেগরম প্রমাণ মিলছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের সব পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাবে: মুখ্যমন্ত্রী

যদিও এই অভিযোগ নতুন নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ( Swastha Sathi card) থাকলেও যথাসময়ে রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ এসেছে বারবার। পরিষেবা সহজ ও সুলভ করতে একাধিকবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকেও বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে স্বাস্থ্যসাথীর অন্তর্গত পরিষেবারগুলির দর পরিমার্জনের জন্য আবেদন করা হয়।

নবান্ন সূত্রে জানানো হয়, পরিষেবার দর পরিমার্জনে মাস তিনেক সময় লাগবে। তবে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রোগগুলির চিকিৎসা পরিষেবা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বিধানসভা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার সময়েও মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী ( Swastha Sathi card) প্রকল্পের উপরে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন।