রবিবার থেকে নন্দীগ্রামে মমতা, পালটা প্রচার ঝড় তুলতে আসছেন অমিত-মিঠুন

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু প্রতিদিনই সভা করে নন্দীগ্রামের বেশিরভাগ এলাকা চষে ফেলেছেন। তবে ভোট যুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর হার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

রবিবার থেকে নন্দীগ্রামে মমতা, পালটা প্রচার ঝড় তুলতে আসছেন অমিত-মিঠুন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 27, 2021 | 11:42 PM

কলকাতা: প্রথম দফার নির্বাচন শেষ। এ বার গোটা রাজ্যের নজর আটকে নন্দীগ্রামের (Nandigram) দিকে। কারণটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আগামী ১ এপ্রিল বঙ্গ সাম্প্রতিক বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসের অন্যতম বড় নির্বাচনী যুদ্ধ দেখবে বাংলা। সেই যুদ্ধের শেষ লগ্নের প্রস্তুতি সেরে নিতে আগামিকাল থেকেই নন্দীগ্রামে প্রচারের ঝড় তুলবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুভেন্দুর সমর্থনে সেখানে প্রচারে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah) ও মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)।

শুধু শুভেন্দু বা শাহকে দিয়ে প্রচার করিয়ে সন্তুষ্ট নয় গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির নব্য সংযোজিত তারকা মুখ মিঠুন চক্রবর্তীকেও নন্দীগ্রামে প্রচারে নামতে দেখা যাবে বলে খবর বিজেপি সূত্রে। মুরলীধর সেন লেন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ৩০ মার্চ সকালে অধিকারী গড়ে রোড শো এবং সভা করবেন অমিত। এরপর দুপুরে প্রচারে নামবেন মিঠুন চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু প্রতিদিনই সভা করে নন্দীগ্রামের বেশিরভাগ এলাকা চষে ফেলেছেন। তবে ভোট যুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর হার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

তবে একটা বিষয় মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, মার্চের গোড়ার দিকে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে বিরুলিয়া বাজারের কাছে পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করেই কলকাতায় এসে এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। সেই সময়ের পর থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী আর সেখানে যাননি।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ফোন’ বিজেপি নেতাকে, ‘আমাদের হয়ে একটু কাজ করে দাও না’!

এর মধ্যে হলদি দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। দুর্ঘটনাকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করেছেন বলেও দাবি করেছে বিজেপি। তার মধ্যে শনিবারই একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে যেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি সহ সভাপতি প্রলয় পালকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে তাঁর দলের হয়ে কাজ করতে বলেছেন, এমনটাই দাবি বিজেপির। TV9 বাংলা সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই না করলেও এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের সব চোখই এখন ১ এপ্রিলের নন্দীগ্রামের দিকে।

আরও পড়ুন: পাঁচ মৌ চুক্তি, সঙ্গে মিতালী এক্সপ্রেস, নমোর বাংলাদেশ সফরে আরও কী কী পেল ভারত?